অসাধারন একটা মুভি গ্রুপ। প্রায় সব ইউজাররা একটিভ। নিয়মিত তারা বিভিন্ন মুভি শেয়ার করে হেল্প করছে পাশাপাশি হেল্প নিচ্ছে। চলছে আলোচনা। চলছে তর্ক। সবাই গ্রুপের নিয়ম মেনে গ্রুপ্টাকে নিজের মতো ভালোবেসেছে। যা আমাদের যারা মুভি দেখি তাদের জন্য কতো প্রয়জনিয় তা বলার বাইরে। আপনি চাইলেই এই গ্রুপের সদস্য হতে পারেন। আপনিও আপনার পছন্দের মুভিটি শেয়ার করতে পারেন। জেনে নিতে পারেন অন্যদের ভালোলাগার মুভি। আলোচনা করতে পারেন।চ শুধু এক্টিভ থাকার চেস্টা করবেন।গ্রুপের নিয়মকানুন মেনে চলুন। মুভি লাভার এখানে কিল্ক করে আমাদের প্রিয় গ্রুপের সদস্য হয়ে যান

কেউ বলে পাগল , কেউ বলে সাইকৃস্ট। গল্প


১ম.....
আজকে আর মালাকে মনেহয় দেখা হবেনা । উহু, রিক্সাটাও যে আস্তে চলছে। তাড়াতাড়ি যাওয়ার কথা বললেই মহামান্য রিক্সাচালক আরো আস্তে চালাচ্ছেন।

   এই নিয়ে তিন দিন হল সে নিলয় মালাকে দেখেনা। মায়ের অসুখ, হাসপাতাল আর বোনের বাড়ি নিয়ে ব্যস্ত। তিন দিন যেন কয়েক বছর।

    নিলয়ের বাসার পাশে থাকে মালা। একই বরাবর। জানালা থেকে আলাপ, মনে মনে প্রেম।

   প্রেম না হলেও ভালবাসা কাজ করে। দুজন দুজনের দিকে অবাক তাকিয়ে থাকে , নিলয় অনেক ঈশারা দেয় কিন্তু মালা কিছুই করেনা , ওর ভয় বেশি । কাকে ভয় পায়?
 মামা কে না মামি কে , নিলয়  জানতে চেয়েছিল।
  উত্তরঃ সমাজকে।

   নিলয়ের মাঝে মাঝে মনে হয় , জানলায় আর যাবেনা। ওর দিকে তাকাবে না। কিন্তু একদিন না দেখলে যে মনটা ফাকা হয়ে যায়।
শুধু শুধু চোখ ভিজে আসে।
২য়.....

 রিক্সার ঝাকুনিতে নিলয়ের ঘোড় ভাঙ্গলো।
     মনে পড়ে গেল কিছু দিন আগের কথা। প্রচন্ড বর্ষা। ঢাকা শহর যেন চুপ মেরে গেছে। নিলয় সিগারেটের নেশায় এলাকার বাইরে গিয়েছিল। রাত অনেক হল। প্রায় ১১টা, মা বকাবকি করবে তাই
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই নিলয় বাসার দিকে রহনা দিল। হঠাত করেই চোখ পড়লো মালার বাসার দিকে। সে দাঁড়িয়ে আছে গেটের কাছে।
 হাসান গিয়ে ঐই বাসার গ্যারেজে আশ্রয় নিল। তারপর ওর সাথে কথা বলা শুরু করলো। মোটা্মুটি কথা যা হল অনেকটা এরকম


 ‘ মালা এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন”
“মামা আসবে তাই’
“তাতে তোমার কি?”
“সাথে বাজার আছে তাই ৫ তালায় উঠাতে হবে”
“তোমার মামি কই?”
“তিনি অসুস্থ”
“আচ্ছা একটা কথা বলব, সত্যি উত্তর দিবে?”
মাথা ঝাকালো মালা।
“তুমি কি আমাকে ভালবাসো?”
মুচকি হাসি মালার মুখে।
 “তোমাকে মুখে বলতে হবেনা আজ রাতে বাসায় গিয়ে ঘুমানোর আগে তুমি লালা জামা পড়লে আমি ভাববো যে তুমি আমাকে ভালোবাসো , আর না পড়লে না”
মালা মাথা ঝাকালো।
   মালা বলল, “ আপনি মনে হয় জানেনে না যে আমাই...”
“জানি , আমি সব জানি। কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসি , এটা সব থেকে বড় কথা। আমি আমার ভালবাসার জন্য সব করতে পারবো”


    তারপর, সেদিন রাতে  মালা লাল জামা পড়েছিল।
    আরো দুদিন কথা হয়েছিল ওদের।
    বাজার করতে গিয়ে মালা আর নিলয় একদিন রিক্সাও ঘুরেছিল।
    সেদিন নিলয় মালাকে চুমু দিয়েছিন।
    নিলয়ের মা অসুস্থ হলে নিলয় খুব কান্নকাটি করে , মালাও কেদেছিল। নিলয় দেখাতে তার ভালবাসা দিগুন বেড়ে গেলো।

৩য়...।

   নিলয়ের মেজাজটা খুব গরম হচ্ছে, ১ ঘন্টা ধরে রিক্সা চলছে তো চলছে।
    পাশ দিয়ে নিলয়ের এক বন্ধু বাইক নিয়ে যাচ্ছিল। নিলয় তাকে থামিয়ে বাকি রাস্তা বাইকে করে গেলো।
    নিলয়ে্র বাসার রোডে প্রচুর ভিড়। কোনো র্দুঘটনা ঘটেছে হয়তো। নিলয়ের মনটা খুশি হয়ে গেলো।
   যেহেতু এলাকার সব মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে , নিশ্চই মালাও আসবে।
মালাকে দেখার প্রবল ইচ্ছায় নিলয়ের গায়ে শক্তি বেড়ে গেল । আর সে সেই শক্তি খাটালো আগ্রহি জনতার উপর। ধাক্কা দিয়ে সে মানুষ সরিয়ে মালার বাসার সামনে আসলো।
ঘটনাটা তাহলে এই বাসাতেই ঘটেছে।
পাশেই নিলয়ের পরিচিত একটা আন্টি ছিল, নিলয় তার কাছে জানতে চাইলো আসল ঘটনাটা কী?
তিনি যা বললেন তা শুনে নিলয় অজ্ঞান হয়ে যায়।

৪র্থ.।.।।



তিনি বলেছিলেন ‘ এই বাসার ৫ তালায় খুন হইসে। মালা নামের একটা কাজের মায়ে ছিলোনা। ওরে ওর মালিক রাতে রেফ করলে সে তার মালিকের  বঊরে জানায়। বউ আইয়া গাঞ্জাম বাধায়।   
তারপর মালারে মারধোর করে।
    
এমন মারা মারছে মাইয়াডারে মইরা গেল।




এরপর থেকে নিলয়ের আচরনে আসে অদ্ভুত পরির্তন। কেউ বলে পাগল , কেউ বলে সাইকৃস্ট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন