অসাধারন একটা মুভি গ্রুপ। প্রায় সব ইউজাররা একটিভ। নিয়মিত তারা বিভিন্ন মুভি শেয়ার করে হেল্প করছে পাশাপাশি হেল্প নিচ্ছে। চলছে আলোচনা। চলছে তর্ক। সবাই গ্রুপের নিয়ম মেনে গ্রুপ্টাকে নিজের মতো ভালোবেসেছে। যা আমাদের যারা মুভি দেখি তাদের জন্য কতো প্রয়জনিয় তা বলার বাইরে। আপনি চাইলেই এই গ্রুপের সদস্য হতে পারেন। আপনিও আপনার পছন্দের মুভিটি শেয়ার করতে পারেন। জেনে নিতে পারেন অন্যদের ভালোলাগার মুভি। আলোচনা করতে পারেন।চ শুধু এক্টিভ থাকার চেস্টা করবেন।গ্রুপের নিয়মকানুন মেনে চলুন। মুভি লাভার এখানে কিল্ক করে আমাদের প্রিয় গ্রুপের সদস্য হয়ে যান

ঘৃনা করি বন্দি জীবন

এই নিয়ম কানুন আর গতিময়তার মাঝে মরতে পারাটাকে যে জীবন ভাবিনি। কোথাও যদি কলঙ্ক না থাকে ঠিক যেন বাচতে ইচ্ছা করেনা। বার বার হারিয়ে যাই ছেলে বেলায়, ছুটে বেড়ানো, সেই মাঠ, নদী, সাতার কাটা, পাশের বাড়ির মেয়েটির মৃদ্যু হাসি আজও নাড়া দেয়। মনেপড়ে ক্লান্ত মনে ঘরে ফিরেই মায়ের আচলে লুকাতাম। অনেক চেষ্টারপর বাবা আমাকে ক্যাডেটে দিতে পারিনি। আমার বড় ভাইয়া গিয়েছিল। মায়ের আচলে থাকার সময়ে তার কথা খুব মনে পড়তো।বাবার মৃত্যু আমার কোলে হয়েছিল।

মা

 লিখেছেনঃ কাকভেজা
১ম প্রকাশঃ সামু

 যদিও লেখার অভ্যাসটা নেই বললেই চলে, কিন্তু আজ মাঝরাতে নিরব একটি কক্ষে বসে বড় বেশি মাকে মনে পড়ছে, তাই মনে করলাম দু-চারটে কথা লিখি মা’কে নিয়ে, যদি মনটা একটু হালকা হয়।
আমি বাড়ীর বড় ছেলে... বংশের বড় ছেলে। গ্রামে জন্ম হলেও ছোট বেলা থেকে গ্রাম হতে দূরে থেকেছি। তাই যখন বাড়ীতে যেতাম তখন মা যে কি যতনে আমাকে আগলে রাখতো আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।

আসুন ধর্ষনকে একটু ধর্ষন করি।

পৃথিবির নানা দেশে নানা অঞ্চলে ধর্ষন ছড়িয়ে আছে। সবখানেই এটাকে মানবতাবিরোধী কর্ম হিসেবে গন্য করা হয়। কিন্তু দিন দিন এই আচরন বেড়েই চলেছে। বর্তমান সময়ে এটা একটা বিশাল অপরাধ।
আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় নারী আর শিশুরাই ধর্ষনের শিকার হয়। জাতি বিভেদ,ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে ধর্ষন কার্য চলে। এক্ষেত্রেও একই পরিনতি।এর পাশপাশি গন ধর্ষন বা গ্যাং রেপ মারান্তক আকার ধারন করেছে।পরিবেশ পরিস্থিতি, সমস্যা,আবেগ, প্রতিশোধ ইত্যাদি বিভিন্ন অনুভুতির জন্য ধর্ষন হইয়ে থাকে।

যুদ্ধাক্রান্ত দেশে ধর্ষনঃ

যে মুভিগুলো দেখে মুখ হা হয়ে গেছে

কারেন্টে শক খেয়েছেন কখনো?
আমি খায়নি।
কিন্তু মুভি দেখে খেয়েছি।
আমাদের সবারই হলিঊড বলিঊড এর মুভি দেখে মনেহয় এটাতো আগে থেকেই জানতাম।
তাছাড়া নায়কের বেচে যাওয়া, চরম সত্যকে মাঝে মাঝে আড়াল করা হয় মুভির প্রয়োজনে। সব কিছুরই ব্যতিক্রম থাকে।
বিশেষ করে হলিঊডে এমন কিছু মুভি আছে যা দেখে চমকে গেছি। বারবার দেখেছি।বারবার ভালও লেগেচে। এম নাঈট বা ক্রিস্টফার নোলান এদের ফিল্ম গুলো এমনি হয়, প্রায় প্রতেক বছর এরকম ২ ৩ তা মুভি বের হয়।আমি বেছে বেছে এই মুভিগুলো দেখলাম কয়েকদিন ধরে।
সবগুলো দেখেই শক কেয়েছি যেগূলো দেখে বেশী সেগুলো নিচে দিলাম। আপনি মিলিয়ে দেখতে পারেন।

The Others
এটার শেষটা দেখে মাথা ঘুরে গেসে। আপনা্রও যাবে।

ভ্যাম্পায়াররা কখনো মরেনা কেন?



প্রায় ২০০ বছর আগের কথা। ১৮১৬ সালের কাছাকাছি সময়। অদ্ভুত হলেও সত্যি সেবছর গীষ্মকাল আসেনি। আগ্নেয়গিরি থেকে আগুন বের হওয়ার কারনে পৃথিবির তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।
কয়েকজন বন্ধু একসাথে জড়ো হলো। তারা লেক জেনেভায় ভিলা ডিওডাটিতে থাকতো। তখন তারা ছোট একটা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। কে কতো ভয়ংকর গল্প লেখতে পারে। আর তাদের সেই প্রতিযোগিতা দিয়ে সৃষ্টি হয় আজকের সবথেকে বড়ো দানব।

KICK ASS বাংলা ড়ীভীঊ এবঞ ডাঊণলোড


ডিরেক্টরঃ Matthew Vaughn
অভিনয়েঃ Aron jonson, nikolus cage



আমার দর্শনঃ মুভি ডাউনলোড 
দেওয়ার আগে ভাবছিলাম কি মুভি দেখবো। সেরা আকশন মুভি ২০১০ সার্চ দিতেই গু্গোল প্রায় কয়েক কোটি রেসাল্ট দিল। প্রথমটাতে এই মুভিটাকে ১ নাম্বর বলা হয়েছে। আরো কয়েকটা দেখে যা বুঝলাম যে এটাই ২০১০ সালের সেরা একশন মুভি। দিলাম টরেন্ট মেরে। কাল মুভিটা দেখলাম।ততটা একশন পায়নি যা দিয়ে বছরেরে সেরা হওয়া যায়। কিন্তু মুভিটা অতুলোনিয়। কিন্তু কেন? রিভিউ দেখুন।

ইতিহাসের ১০ জন গুরুত্তপুর্ন ব্যক্তি। ২য় পর্ব



আমি আজ তাদের নিয়ে কথা বলব যারা রচনা করেছে ইতিহাস। ইতিহাস যাদের সারা জীবন মনে রাখবে। তারা মারা গেছে অনেক আগে অথচ আজও আমরা তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি।
সময়ের অভাব তাই একবারে সব দিতে পারবনা, একটা একটা করে শেয়ার করবো।

নম্বর দুই হলো আইজাক নিউটন।
ইতিহাসের ১০ জন গুরুত্তপুর্ন ব্যক্তি ১ম পর্ব

ইতিহাসের ১০ জন গুরুত্তপুর্ন ব্যক্তি ১ম পর্ব


আমি আজ তাদের নিয়ে কথা বলব যারা রচনা করেছে ইতিহাস। ইতিহাস যাদের সারা জীবন মনে রাখবে। তারা মারা গেছে অনেক আগে অথচ আজও আমরা তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি।
সময়ের অভাব তাই একবারে সব দিতে পারবনা, একটা একটা করে শেয়ার করবো।
ইতিহাসের সবথেকে গুরুত্তপূর্ন ব্যক্তি অর্থাৎ ১ নম্বর হলো :
হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)

একটি ঘন্টা কাহিনি ও বৈজ্ঞানিক যুক্তি

চিন দেশে একটা ঘন্টা আছে। নাম তা চুং শুন। মন্দিরের নাম অনুসারে এটাকে এই নামে ডাকা হয়। এই ঘন্টার আওয়াজ প্রায় ৩৭ মেইল দূর থেকে শোনা যায়। ইয়াংগুল নামের এক সম্রাট এটা তৈরী করেন। আর এই ঘন্টা তৈরীর পিছনে রয়েছে
একটা আজব কাহিনী। আসুন শোনা যাক...............

প্যারানরমাল আক্টিভিটি মুভি রিভিউ এবং ডাউনলোড


আমার দর্শনঃ এই মুভির সবথেকে বড় আকর্ষন হলো এটা একটা ডিরেক্টরবিহিন ফিল্ম। এই ফিল্মে কোনো ডিরেক্টর নেই কারন এটা একটা ফুটটেজ ফিল্ম। বিভিন্ন ওয়েবসাইট এটাকে সেরা ১০ হরর ফিল্মের লিস্টে স্থান দিয়েছে। কিছু কিছু প্রায় ১৫০ ঊপরে ওয়েবসাঈট এটাকে সবসময়ের সেরা ফুটটেজ ফিল্ম হিসাবে নির্বাচন করেছে।২০০৭ সালের এই ফিল্মটি মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। গতিময় ধারার হরর ফিল্মের বাইরে গিয়ে এটাকে নির্মান করা হয়েছে। যারা হরর ফিল্ম দেখে হাসেন বা নাক সিটকান তাদের জন্য এবারের রিভিঊ পর্ব।

অমানুষ- মুভি ডাউনলোড


আমার দর্শনঃঅনেকের কাছে মুভিটি সেরকম কিছু না। কিন্তু আমার কাছে অনেক কিছু কারন আমি যে মুভি দেখি সে মুভির লেভেলে নেমে আসি।  কলকাতার মুভি দেখছি  অথছ  হলিঊডের   সাথে তুলোনা দিব তাকি করে হয়। যাহোক আমার ভাষায় মুভিটি অতুলনিয়।রিয়েলিটি নাকি ফান্ন্টাসি সেটা বলা মুস্কিল। কিন্তু ভালোলাগার মতো একটা মুভি এটা।

দেশের দক্ষিনাঞ্চলীয় জেলা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার  দক্ষিন-পশ্চিমে  অবস্থিত   নৈসর্গিক শোভামন্ডিত  দ্বীপাঞ্চল নিঝুম দ্বীপ। রহস্যময়ী এই নিঝুম দ্বীপ নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়,বহির্বিশ্বের মানুষের ব্যাপক কৌতুহল ও আগ্রহ রয়েছে।অন্যতম কারন মনোরমপরিবেশ এবং এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত প্রত্যক্ষ করার বিরল  সুযোগ ।

প্রিতম চক্রবতীর কপি করা গান

আপনি হয়তো জানেন যে বলিঊডের প্রখ্যাত সংগিত পরিচালক প্রিতম চক্রবতি খুব গুনি একজন মানুষ। বর্তমানের হিন্দি গানগুলোতে যেন তার নাম ছাড়া চলছে না। হ্যা ঠিক তাই সে গানে কতোটাগুনি তা বলতে পারবোনা কিন্তু চুরিবিদ্যায় সে অতুলোনিয়। 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলা ভুমি 'বাংলাদেশ'।

সামুতে ঘুরতে ঘুরতে এটা পেয়ে যাই। আমার এই ছোট ব্লগটিতে কিছু বিদেশি ইউজার আসেন যারা বাংলাদেশ সমন্ধে কম জানেন।দুরে থাকেন তাই বাংলা ভাষার প্রতি টান থেকে তারা এখানে আসে। তাদের জন্য এই পোস্ট। এটা একটা ফটো ব্লগ।

হলিউড থেকে কপি করা হিন্দি মুভি

 শুধু যে বাংলা ফিল্ম হিন্দি থেকে কপি করা হয়। আসলে তা নয়।
হিন্দি ফিল্মগ্গুলোও  হলিঊড থেকে কপি করা হয়। যার বেশি ভাগ
খুব চিরচেনা হিদি ফিল্ম। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলাম। খেয়াল 
করে লিস্টটা একবার দেখেন।

দ্য লাস্ট ডন- মারিও পুজো

মারিও পুজোর লেখা গডফাদার সিরিজটা জগত বিখ্যাত।
রাজনিতির হাড়ে হাড়ে প্রবেশ করা হয়েছে এই নোভেলে।
সবগুলো বই প্রায় বেস্ট সেলারের সম্মান পেয়েছে।
আর এই সিরিজের সর্বশেষ বই হলো দ্য লাস্ট ডন।
আর এই বই এই সিরিজের সব থেকে বিখ্যাত বই।

কিস দ্য গার্ল - বাংলা অনুবাদ বই


কিডন্যাপ করা একটা মেয়েকে নিয়েই  কাহিনি   শুরু।
আর শেষও তাকে দিয়ে।মাঝে রয়েছে চমৎকার থ্রিলিং।
টানটান উত্তেজনায় শুরু ও শেষ হয়েছে এর কাহিনি।
আশা করি সবাই পড়ে মজা পাবেন। 
অনুবাদটাও জোশ হয়েছে।
বইটি পড়ার জন্য এই FOXIT READER ব্যবহার করুন

কেউ বলে পাগল , কেউ বলে সাইকৃস্ট। গল্প


১ম.....
আজকে আর মালাকে মনেহয় দেখা হবেনা । উহু, রিক্সাটাও যে আস্তে চলছে। তাড়াতাড়ি যাওয়ার কথা বললেই মহামান্য রিক্সাচালক আরো আস্তে চালাচ্ছেন।

   এই নিয়ে তিন দিন হল সে নিলয় মালাকে দেখেনা। মায়ের অসুখ, হাসপাতাল আর বোনের বাড়ি নিয়ে ব্যস্ত। তিন দিন যেন কয়েক বছর।

    নিলয়ের বাসার পাশে থাকে মালা। একই বরাবর। জানালা থেকে আলাপ, মনে মনে প্রেম।

   প্রেম না হলেও ভালবাসা কাজ করে। দুজন দুজনের দিকে অবাক তাকিয়ে থাকে , নিলয় অনেক ঈশারা দেয় কিন্তু মালা কিছুই করেনা , ওর ভয় বেশি । কাকে ভয় পায়?
 মামা কে না মামি কে , নিলয়  জানতে চেয়েছিল।
  উত্তরঃ সমাজকে।

   নিলয়ের মাঝে মাঝে মনে হয় , জানলায় আর যাবেনা। ওর দিকে তাকাবে না। কিন্তু একদিন না দেখলে যে মনটা ফাকা হয়ে যায়।
শুধু শুধু চোখ ভিজে আসে।
২য়.....

 রিক্সার ঝাকুনিতে নিলয়ের ঘোড় ভাঙ্গলো।
     মনে পড়ে গেল কিছু দিন আগের কথা। প্রচন্ড বর্ষা। ঢাকা শহর যেন চুপ মেরে গেছে। নিলয় সিগারেটের নেশায় এলাকার বাইরে গিয়েছিল। রাত অনেক হল। প্রায় ১১টা, মা বকাবকি করবে তাই
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই নিলয় বাসার দিকে রহনা দিল। হঠাত করেই চোখ পড়লো মালার বাসার দিকে। সে দাঁড়িয়ে আছে গেটের কাছে।
 হাসান গিয়ে ঐই বাসার গ্যারেজে আশ্রয় নিল। তারপর ওর সাথে কথা বলা শুরু করলো। মোটা্মুটি কথা যা হল অনেকটা এরকম


 ‘ মালা এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন”
“মামা আসবে তাই’
“তাতে তোমার কি?”
“সাথে বাজার আছে তাই ৫ তালায় উঠাতে হবে”
“তোমার মামি কই?”
“তিনি অসুস্থ”
“আচ্ছা একটা কথা বলব, সত্যি উত্তর দিবে?”
মাথা ঝাকালো মালা।
“তুমি কি আমাকে ভালবাসো?”
মুচকি হাসি মালার মুখে।
 “তোমাকে মুখে বলতে হবেনা আজ রাতে বাসায় গিয়ে ঘুমানোর আগে তুমি লালা জামা পড়লে আমি ভাববো যে তুমি আমাকে ভালোবাসো , আর না পড়লে না”
মালা মাথা ঝাকালো।
   মালা বলল, “ আপনি মনে হয় জানেনে না যে আমাই...”
“জানি , আমি সব জানি। কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসি , এটা সব থেকে বড় কথা। আমি আমার ভালবাসার জন্য সব করতে পারবো”


    তারপর, সেদিন রাতে  মালা লাল জামা পড়েছিল।
    আরো দুদিন কথা হয়েছিল ওদের।
    বাজার করতে গিয়ে মালা আর নিলয় একদিন রিক্সাও ঘুরেছিল।
    সেদিন নিলয় মালাকে চুমু দিয়েছিন।
    নিলয়ের মা অসুস্থ হলে নিলয় খুব কান্নকাটি করে , মালাও কেদেছিল। নিলয় দেখাতে তার ভালবাসা দিগুন বেড়ে গেলো।

৩য়...।

   নিলয়ের মেজাজটা খুব গরম হচ্ছে, ১ ঘন্টা ধরে রিক্সা চলছে তো চলছে।
    পাশ দিয়ে নিলয়ের এক বন্ধু বাইক নিয়ে যাচ্ছিল। নিলয় তাকে থামিয়ে বাকি রাস্তা বাইকে করে গেলো।
    নিলয়ে্র বাসার রোডে প্রচুর ভিড়। কোনো র্দুঘটনা ঘটেছে হয়তো। নিলয়ের মনটা খুশি হয়ে গেলো।
   যেহেতু এলাকার সব মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে , নিশ্চই মালাও আসবে।
মালাকে দেখার প্রবল ইচ্ছায় নিলয়ের গায়ে শক্তি বেড়ে গেল । আর সে সেই শক্তি খাটালো আগ্রহি জনতার উপর। ধাক্কা দিয়ে সে মানুষ সরিয়ে মালার বাসার সামনে আসলো।
ঘটনাটা তাহলে এই বাসাতেই ঘটেছে।
পাশেই নিলয়ের পরিচিত একটা আন্টি ছিল, নিলয় তার কাছে জানতে চাইলো আসল ঘটনাটা কী?
তিনি যা বললেন তা শুনে নিলয় অজ্ঞান হয়ে যায়।

৪র্থ.।.।।



তিনি বলেছিলেন ‘ এই বাসার ৫ তালায় খুন হইসে। মালা নামের একটা কাজের মায়ে ছিলোনা। ওরে ওর মালিক রাতে রেফ করলে সে তার মালিকের  বঊরে জানায়। বউ আইয়া গাঞ্জাম বাধায়।   
তারপর মালারে মারধোর করে।
    
এমন মারা মারছে মাইয়াডারে মইরা গেল।




এরপর থেকে নিলয়ের আচরনে আসে অদ্ভুত পরির্তন। কেউ বলে পাগল , কেউ বলে সাইকৃস্ট।

কিছুদিন আগেও ছিলাম শিশুর মতন তুমি আসাতে আমার এ পরির্বতন।

কিছুদিন আগেও ছিলাম শিশুর মতন
তুমি আসাতে আমার এ পরির্বতন।
স্কুলের প্রান্তর যেটা আগে ছিল শুধু একটা খেলার মাঠ
এখন সেখানে কতো সৃতি,
মোবাইল ফোন যেটা ছিল ভিডিও গেম
এখন সে ছাড়া যেন চলছেনা।
আগে বকা খেলেই খারাপ লাগতো,
এখন অপেক্ষায় থাকি কখন তুমি বকবে।
আগে কেউ জেদ করলে পাত্তাই দিতাম না।
এখন যে থাকতেই পারিনা।
বিয়ে বাড়ি মানে আনন্দ, রং মাখামাখি,
এখন বুঝি বিয়ে কি জিনিস।
অস্ত্র দেখেও ভয় পেতাম না।
বাসর রাতে সে কি কাপাকাপি।
খাওয়া ও ঘুম আর ভালবাসা এটাই সর্বস শান্তি।
সবথেকে বড় শান্তি যে অন্ধকারে তুমি আর আমি।
আগে বুঝতাম না মা জাতি কি জিনিস
এখন বুঝি কারন আমি বাবা।
বুড়ো হলে মানুস যেন ছোট হয়ে যায়
আমার কাছে সে এক রহস্য
তোমার হাত ধরে রোদ পোহাতে পোহাতে
সে কথা খুব মনে পড়ছে।
আগে ভাবতাম মৃত্যু যেন তাড়াতাড়ি হয়, তাহলে কস্ট কম,
তোমার চোখে পানি দেখে যেতে ইচ্ছে করছে না।

আদরে বড় হওয়া সপ্ন


বহুদিন পর কিছুদিনের মাঝে পুরন হতে যাচ্ছে আমার সপ্ন। এইতো আর মাত্র কয়েকদিন তারপর ই আমি ও আমরা শুরু করতে যাচ্ছি আমাদের ফিল্মের কাজ। শর্ট ফিল্মের কাজ।
ছোট বেলার সপ্ন, মুভি দেখতে দেখতে কখন যে মুভির ভুল ধরা শুরু করেছি জানিনা । তেমন জানিনা কিভাবে পরিলচালক হওয়ার শখটাও মনে জেগেছে। আজ নিজেকে ভাসিয়ে দিতে যাচ্ছি ভেসে আসা সপ্নে। ভয় লাগে হয়তো কিছু পারবনা, আবার মনে হয় পারব। কারন এই কাজ ছাড়া আমার কিছু করার যোগ্যতা নেই।
যা হক এই মাসের ২০ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আমাদের ফিল্মের কাজ।
সামু ব্লগসহ আরো আনেক জায়গায় স্ক্রিপ্ট চেয়েছিলাম। অনেক পেয়েছি। ভাল লেগেসে যে এই ছোট ছেলে টাকে সবাই বিশ্বাস করেছে।
নির্বাচিত হয়েছে নস্টকবির দর্শক  গল্পটি। দুই দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে স্ক্রিপ্ট লেখা শেষ করলাম । নাম পরিবর্তিত করেছি। 
নাম  শূন্য মুঠো।
আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন।

আমি কেন প্রথম না?





লিখেছেন ঃ দিপ (admin)
আমি তাকে ভালবাসি আর সে বাসে অন্যকে।
আমাদের প্রেম ছিল। ছিল ভালবাসা । ছিল আবেগ, ছিল অভিমান।
এক জনের উপর এক জনের টান। ছিল খারাপ লাগা। সবই  ছিল। 
একটা প্রেমে যা থাকা উচিত তার সবই ছিল।
হঠাত একটা ঝড় আর এলোমেলো সব কিছু। কোথা থেকে জানিনা,
ঠিককবে বলতে পারবনা কিন্তু আমার প্রিয়তমার প্রথম প্রেম আবার
ফিরে আসল তার জিবনে। 
কি দরকার ছিল? 
সে ভুলে গেল আমায়, যেন বর্তমানের চেয়ে সৃতিবেশি মধুর।
চলে গেল তার হৃদয়ে আমার হৃদয় ফাকা করে।
অনেক সাধনায় পেয়েছিলাম তাকে, হারালাম অনিচ্ছায়।
একা আমি প্রায় নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছিলাম, সে আবার ফিরে আসল।
শুরুতে আমি তাকে একটা কথা বলে ছিলাম
“আমার চেয়ে যদি বেশি কেউ ভালবাসতে পারে তাহলে নাক কেটে মাটিতে রেখে দিব।“
সে আমা্কে কথাটা মনে করিয়ে দিল। এবং আমার কথাতে যে তার র্পুন বিশ্বাস আছে,
সে বিষয়ে আমাকে বোঝালো। হেরে গেলাম। ভালবাসার কাছে। তার না আমার ভালবাসার কাছে। তার সাথে আবার জড়ীয়ে গেলাম নতুন বাধনে। সফল হয় নি। প্রিয়তমা আজও অই ছেলেকে ভালবাসে। আমাকে নয়। আমি শুধু একজন ভাল সংগি।
শুনেছি প্রথম প্রেম নাকি খুব সিরিয়াস হয়, আমি বুঝতে পারি। 
ভাবতাম প্রথম প্রেম কিছুনা। ভালবাসাটাই প্রধান।
এখন শুধু আক্ষেপ হয় আমি কেন প্রথম না?

 লিখেছেন ঃ      sraboni
প্রথম প্র্কাশ ;     সামু ব্লগ
বিবর্ণ সময়ের হাত ধরে আসে অন্ধকার নাকি আলোর সাথে হেঁটে হেঁটে আসে অন্ধকার? মাথায় ঢুকছে না ব্যাপারটা। আজ বিকেল থেকে এই প্রশ্নটা মাথায় পোকার মত কুটকুট করে কামড়াচ্ছে। বাড়ী ফিরতে ইচ্ছে করছে না। বাড়ী মানে তো সেই অশান্তির কুঞ্জ। ভাল লাগে না আর। সারাদিন হা করা অভাব আর টাকার চিন্তায় পাগল মানুষগুলোর উত্তপ্ত বাক্যালাপে ক্লান্ত লাগে খুব।
তার চেয়ে এই ভাল পার্কে বসে উদাস বাতাসের সাথে বিলীন হওয়া। কি যে এক অদ্ভুদ শূণ্যতা বুকের ভেতর!
আজ প্রায় তিন বছর হতে চলল পাশ করেছি। একটা ভাল চাকরীর জন্য কোথায় না কোথায় ঘুরছি! কিন্তু ভাগ্য বিধাতার বুঝি প্রষন্ন হতে মন চাইছে না। মায়ের খুব অসুখ। বাবার বয়স হয়েছে। ছোট ছোট দুটি ভাই বোন আছে। সবাই চেয়ে আছে আমার দিকে। একটা সুপার ষ্টোরে পার্ট টাইম কাজ করি। হিসাব পত্র দেখি। সারাদিন কেটে যায় চাকরী খুঁজে আর টিউশনী করে। এই করে যে ক'টা টাকা পাই মায়ের হাতে তুলে দেই। প্রতিদিন বাড়ী ফেরার পর সব গুলো মানুষের অপেক্ষমান জ্বলজ্বলে চোখের দিকে তাকাতে পারি না। মাথা নিচু করে চলে যাই নিজের রুমে। মা আস্তে আস্তে এসে কাছে দাঁড়াবে নিচু স্বরে জানতে চাইবে ' কিছু উপায় হলো রে শিমু?'
রোজকার মতই আমি বলব ' না মা হয়নি।' মায়ের নিভে যাওয়া মুখের দিকে চাইতে পারি না। বন্ধ বাথরুমের দেয়ালে আছড়ে পড়ে শুধু কান্নার ঢেউ।
চাইলেও এসব থেকে পালাতে পারি না আমি। কখন যেন দু'ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে নিজের অজান্তেই। আজ নিভার সাথে দেখা হয়েছিল। আমি যে ষ্টোরে কাজ করি ওখানে। কিছু কেনাকাটা করে কাউন্টারে এসেছিল। দু'চোখ উপচে পড়া বিস্ময় নিয়ে জানতে চাইল ' কিরে তুই এখানে? চাকরী করিস নাকি?!'
উজ্জ্বল হাসি দিয়ে বলি 'হ্যাঁ। কেমন আছিস?'
'এই তো ভাল। তোর এ কি অবস্থা?! এমন হয়ে গেছিস কেন দেখতে?'
'কি অবস্থা? কই ঠিকই তো আছি।'
' না রে আগের চেয়ে অনেক মোটা হয়েছিস।'
'তাই।'
দ্রুত বিল করে দিই। টাকা গুনে চেঞ্জ ফেরত দিয়ে হাসি মুখে তাকাই। হাসিতে বুঝিয়ে দিই ব্যস্ততা। নিভা হাত নেড়ে চলে যায়।
তারপর থেকে আর কাজ উঠছে না হাতে। কিছুতেই মনো্যোগ দিতে পারছি না। হিসাব ভুল হলো দু'বার। কাষ্টোমারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। ম্যানেজার এসে দাঁড়ালো পাশে। ' কি হয়েছে শিমু? শরীর খারাপ লাগছে নাকি?'
' না কাশেম ভাই। ঠিক আছি।'
' চা খাবে?'
' খাওয়া যায়।'
'এই লাভলু চা আন তো দু'কাপ।'
ম্যানেজারের এত সহানুভুতির অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকি। কাশেম ভাই প্রায় সময় কাজ ফেলে চেয়ে থাকেন আমার দিকে। অন্তরঙ্গ হতে চায়।
এই কি চেয়েছিলাম আমি?! নিজের জীবনটার প্রতি ঘৃনা চলে এসেছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে আর বসে থাকা নিরাপদ না। ধীর পায়ে পার্ক থেকে বের হয়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কে যেন এসে পাশে দাঁড়ায়। কি মনে হতে পাশের মানুষটির দিকে তাকাই। একজন বয়স্ক মানুষ। হাসি মুখে চেয়ে আছে।
' কি নাম তোমার?' গুরুগম্ভীর কন্ঠে জানতে চায়।
একটু অস্বস্তির মাঝে পড়ে যাই। এই রকম সময়ে কেউ নাম ধাম জানতে চাইলে বুঝতেই হবে কোন বদ মতলব আছে। কেন যে এতটা সময় পার্কে বসে থাকলাম?! নিজের উপরই রাগ হচ্ছে এখন খুব। কি ভেবেছে বুড়োটা কে জানে! বাস আসছে না কেন?
' এই মেয়ে তোমাকে বলছি। কি নাম তোমার?' ফের জানতে চাইল লোকটা।
' শিমু।' নিজের অজান্তেই বলে ফেললাম নামটা।
' তোমার প্রশ্নের উত্তর পেলে?'
' মানে?!'
' ওই যে আলোর সাথে অন্ধকার আসে নাকি বিবর্ণতার সাথে আসে?'
বিস্ময়ে পুরো স্তব্ধ হয়ে যাই। আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লেও এতটা আশ্চর্য হতাম কি না জানি না। আমার জানা মতে এই প্রশ্নটা নিয়ে কারো সাথে কথা বলিনি। কারন যখন পার্কে ঢুকলাম তখনই ওটা মাথায় এলো। কিন্তু এই মানুষটি জানল কেমন করে?!
'আপনি কি বলছেন আমি বুঝতে পারছি না।' বলে আর দাঁড়ালাম না। হনহন করে হাঁটতে শুরু করলাম। একটা রিকশাও নাই। পিছন ফিরে তাকিয়ে বুকের ভেতরটা হিম হয়ে গেল। বুড়োটা একদম আমার পিছনে পিছনে আসছে। এ কোন ঝামেলা বাঁধলো!
আবারও মনে মনে নিজেকে কষে গালাগাল করলাম।
হাঁটা বাড়িয়ে দিলাম আরও। বুড়োটা কেমন কেমন করে ঠিকই আমার পাশে চলে এলো। আবারও সেই হাসিমুখ। ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে আমার। কি চায় লোকটা? দালাল না তো?
' শিমু এত ভয় পেয়েছো কেন? আর যাচ্ছো কোথায়? এদিকে তো কিছু পাবে না খুঁজে। তুমি উল্টোদিকে চলে এসেছো।' বুড়োটার কথা শুনে সম্বিত ফিরে পাই। আসলেই তো উল্টো দিকে চলে এসেছি। মানুষটা থেমে দাঁড়িয়ে আছে। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি বাস এসেছে। একটা দৌঁড় দিলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বাস স্ট্যাণ্ডে আসতে আসতে বাস ছেড়ে দিল। কখন যেন লোকটাও এসে দাঁড়িয়েছে পাশে।
'শিমু বললে না তো প্রশ্নের উত্তর পেলে কি না।'
উফফ!! লোকটা জ্বালাচ্ছে কেন? ভীষন রেগে যাই আমি।
' আপনি যান তো!'
' উত্তরটা আমি জানি। বলব?'
' আচ্ছা কি ব্যাপারটা কি? আপনার সমস্যা কি? আপনি আমার পিছে লেগে আছেন কেন?'
' বলব কি না বল।' লোকটা যেন শুনেও শুনতে পেল না আমার প্রশ্ন গুলো।
' আমার কোন প্রশ্ন নাই। আর দয়া করে এখান থেকে যান।'
' মিথ্যে বলছ কেন শিমু? সারা বিকেল তোমাকে এই প্রশ্নটা জ্বালিয়েছে কি না বল?'
' আপনি জানলেন কেমন করে? আপনাকে তো আমি বলিনি।'
' হুম তা বলনি । তবে তুমি যখন পার্কে ঢুকলে তখনই তো ওটা এলো তাই না। আর আমিও শুনতে পেলাম।'
' কিন্তু কিভাবে?!'
' সেটা জানা কি খুব জরুরী শিমু? উত্তরটা জানা তোমার জন্য জরুরী। তাই জানতে এলাম কিছু খুঁজে পেলে কি না।'
' আপনি যদি শুনেই থাকেন প্রশ্নটা তাহলে এটাও নিশ্চয় জানেন যে কিছু খুঁজে পাইনি।' অস্থির লাগছে এখন। রাত হয়ে যাচ্ছে অথচ এখন পর্যন্ত বাস আসছে না। এমন কি রিকশাও না। মা নিশ্চয় চিন্তা করছেন। এর মাঝে এই উটকো লোকটা পিছ ছাড়ছে না। সব মিলিয়ে ভীষন অস্থির লাগতে থাকে আমার।
বুড়োটা আবারও হাসছে। দেখে কেমন জানি বুকের ভেতরটা হিম হয়ে গেল।
' তা ঠিক। আমি জানি তুমি উত্তরটা খুঁজে পাওনি। কিন্তু আমি তো পেয়েছি। তুমি বসে ছিলে যেখানে তার পিছনেই আমি বসে ছিলাম। তোমার সাথে সাথে আমিও ভাবছিলাম খুব। আলো আর অন্ধকার তো আসলে হাত ধরাধরি করে হাঁটে। আলো যতটা উজ্জ্বল অন্ধকার ততটাই নিকষ। আর বিবর্নতার সাথে আসলে দুঃসময়ের বন্ধুত্ব বুঝলে? তবে তোমার চারপাশে অন্ধকার এমন জাকিয়ে বসে আছে যে আলো বেচারা কাছে ঘেঁসতেই পারছে না। তাই আমি ভাবছিলাম যে তোমার সাথে একটু আলো আর অন্ধকার লেনদেন করব। আমারও হঠাৎ করেই কিছু অন্ধকারের প্রয়োজন হয়ে পড়ল। নেবে নাকি একটু আলো?'
কি বলছে কি লোকটা এইসব?! বুড়োটা নির্ঘাত পাগল। কোন কুকক্ষণে পার্কে ঢুকেছিলাম আমি! এই ফ্যাসাদের হাত থেকে বাঁচা যায় কি করে এসব ভাবতে না ভাবতেই লোকটা আবার কথা বলে ওঠে।
'ভাবছো মাথা খারাপ হলো নাকি? শোন মেয়ে তোমাকে যে আলো দেবো তা এই পৃথিবীর খুব কম মানুষকেই দিয়েছি। নরম আর উষ্ণ। আছে অবশ্য অল্পই। গত কয়েক দশকের লেনদেন শেষে আসলে এইটুকুই রয়ে গেছিল। তবে ভয় পেয়ো না। তোমায় ঠকাচ্ছি না। তোমার অন্ধকারটুকু কেনার মত আলো আমার আছে। এখন তাড়াতাড়ি বল নেবে কি না?'
লোকটা যে আসলেই উন্মাদ এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গেলাম। কথা না বাড়িয়ে যা বলে তা মেনে নেয়াই মঙ্গলজনক মনে হলো আমার কাছে। তাই কোনমতে ঢোক গিলে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাই।
বুড়োটা ভীষন খুশি যায়। পকেট থেকে কি যেন বের করে হাতের মাঝে গুঁজে দিল। আর ঠিক তক্ষুনি কোথা থেকে একটা বাস এসে দাঁড়ালো হুস করে। কালক্ষেপন না করে বাসে উঠে পড়ি। এইরকম নির্জন জায়গায় আর জীবনেও আসব না। অন্তত এই সময় না। খুব শিক্ষা হয়েছে আজ। বাস চলতে শুরু করায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। কি মনে হতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই। বুড়োটা কোথাও নেই। এতক্ষণে হাতের দিকে নজর গেল। এখনও মুঠি করে আছি। আস্তে আস্তে মুঠি খুলি। ফাঁকা! কিছু নেই। ফিক করে হেসে ফেলি। দূর! আমারও মাথা খারাপ হয়েছিল লোকটার কথা শুনে। কেমন জানি বিশ্বাসও হচ্ছিল যে কিছু একটা আছে বুঝি।

দু'দিন পর। সকালবেলা কাজে যাবার জন্য বাড়ী থেকে বেরোতেই দেখি পিয়ন আসছে এদিকেই। আমার হাতে একটা হলুদ খাম ধরিয়ে দিয়ে চলে গেল। কেন জানি গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। কাঁপা কাঁপা হাতে খামটা খুলি। এপয়েনমেন্ট লেটার! খুব বড় একটা কোম্পানীতে মাস কয়েক আগে একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। চাকরী হবার আশা একদমই ছিল না। কেমন করে এটা সম্ভব হলো বুঝতে পারছি না। অত্যন্ত ভাল বেতন অফার করছে ওরা আর খুব শীঘ্রি জয়েন করার অনুরোধ জানিয়েছে। বুকের ভেতর কেমন জানি উষ্ণতা অনুভব করি। চারপাশটা যেন হঠাৎ করেই আলোয় আলোয় ভরে গেল। ঝাপসা চোখে দেখি ভেসে যাচ্ছি এক পবিত্র নরম আলোর বন্যায়...