অসাধারন একটা মুভি গ্রুপ। প্রায় সব ইউজাররা একটিভ। নিয়মিত তারা বিভিন্ন মুভি শেয়ার করে হেল্প করছে পাশাপাশি হেল্প নিচ্ছে। চলছে আলোচনা। চলছে তর্ক। সবাই গ্রুপের নিয়ম মেনে গ্রুপ্টাকে নিজের মতো ভালোবেসেছে। যা আমাদের যারা মুভি দেখি তাদের জন্য কতো প্রয়জনিয় তা বলার বাইরে। আপনি চাইলেই এই গ্রুপের সদস্য হতে পারেন। আপনিও আপনার পছন্দের মুভিটি শেয়ার করতে পারেন। জেনে নিতে পারেন অন্যদের ভালোলাগার মুভি। আলোচনা করতে পারেন।চ শুধু এক্টিভ থাকার চেস্টা করবেন।গ্রুপের নিয়মকানুন মেনে চলুন। মুভি লাভার এখানে কিল্ক করে আমাদের প্রিয় গ্রুপের সদস্য হয়ে যান

"তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা"

লিখেছেন ঃ রিমঝিম বর্ষা
অর্ক এক সপ্তাহের জন্য গ্রামের বাড়ী যাবে, এই খবরটা শোনার পর  থেকেই ঊর্মির ভেতরটা  ফাঁকা ফাঁকা লাগতে থাকে।এই শহরে ও সাতটা দিন থাকবেনা; তার মানে মন চাইলেই ওকে দেখা যাবেনা। এমনিতেও যে মন  চাইলেই  দেখা যায় তা নয় ;  তবুও  সম্ভাবনা  থাকে ।  কিন্তু ওই সাতদিন সেই সম্ভাবনাটুকুও যে নেই। আরো দুটো দিন আছে অর্ক এই শহরে। ঘড়ির কাঁটা সময় কমায়, আর ঊর্মির ভেতরটা আরো অস্থির হতে থাকে। রাগ লাগে ওর নিজের ওপরেই । আরে , অর্ক তো আসবে আবার। এত অস্থিরতা তবে কেন ?- নিজেকে নিজে বোঝায় । তবু মন কেন যেন শান্ত হয়না । অর্ককে দেখতে ইচ্ছে করে ওর খুব। মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে দেয় “তোমাকে সি-অফ করতে আসবো আমি।”

রাত আট
’টায় অর্ক’র বাস ছাড়ার কথা কলাবাগান থেকে। সে দুই ঘন্টা হাতে রেখে বাসা থেকে বের হয়। মনটা অদ্ভুত এক ভালো লাগায় ভরে আছে। ঊর্মি আসবে। মেয়েটাকে দেখলেই ভেতরটা কেমন স্নিগ্ধতায় ভরে যায়। এত মায়া মায়া মুখ। বিশেষ করে চোখদুটো; মনে হয় সবসময় কাজল দেয়া। যদিও অর্ক জানে ঊর্মি কাজল দেয়না। ঊর্মির চোখের দিকে তাকালেই অর্ক’র মনে হয় অনেক অ-নে-ক কথা ওখানে, যা ও বুঝতে পারেনা। ঊর্মিকে ওর সবসময় দেখতে ইচ্ছে করে। কতটা ভালোবাসে ঊর্মিকে সে, মেয়েটা জানবেনা কোনদিন। অর্ক’র মধ্যে প্রকাশটা মাত্রাতিরিক্ত কম। ঊর্মির ম্যাসেজ পেয়ে কি পরিমাণ খুশি সে হয়েছে ঊর্মি জানেনা। ঊর্মির উন্মাতাল ভালোবাসার ঢেউয়ে ভাসতে ভীষণ ভালো লাগে অর্ক’র। ভীষণ সেন্টিমেন্টাল মেয়ে। কথায় কথায় কষ্ট পাবে। আবার একটু আদরেই বিড়ালের মত কোল ঘেঁষে থাকবে। অদ্ভুত একটা মেয়ে। ঊর্মির কথা ভাবতে ভাবতেই ঊর্মির ফোন।

"
কেন বকছো তুমি আমাকে?" ঊর্মি একটু আহ্লাদ মিশ্রিত ঝাঁঝ নিয়ে বলে।
"
বকবো কেন?"
"ভীষন জোরে একটা কামড় লাগলো ঠোঁটে।" হাসে ঊর্মি।
"
সত্যি?" অর্ক’তো ওকেই ভাবছিলো। ভাবনার কারণে কামড়? এটা হয় নাকি? ভাবে ও মনে মনে।
"সত্যি নয়তো কি?"

অর্ক সিগনালে আটকে আছে। এখনো দেড় ঘন্টা বাকী আট
’টা বাজতে। কলাবাগান পৌঁছাতে বড়জোর আর এক ঘন্টা লাগবে। ঊর্মির সাথে কথা বলতে শুরু করলে সময় গড়িয়ে যায় কি করে বোঝেনা অর্ক। এমনিতে এতক্ষণ ফোনে কারো সাথে কথা বলা অসম্ভব। অথচ ঊর্মির সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায়। ভালো লাগা বাড়তেই থাকে। কথার ডালি ফুরোয়না।

"
আচ্ছা শোন...আমি না আসবোনা।" ঊর্মি বলে।
"
মানে?"....ধাক্কার মত লাগে অর্ক’র। "তুমি কি জানোনা আমি অপেক্ষা করছি?!" অভিমান নিয়ে মনে মনে বলে অর্ক।
"আসলে আমার মনে হচ্ছে তোমাকে সি-অফ করতে আসলে আমার বেশি খারাপ লাগবে। খালি খালি লাগবে।"
"
হুম"। ছোট্ট করে বলে অর্ক। "আর তোমাকে না দেখলে যে আমার ভেতরটা খালি হয়ে যাবে। আমার বুকের নদীতে খরা পড়বে। ঢেউ হবেনা সে নদীতে আগামী সাত-টা দিন"...অর্ক মনে মনে বলে।

ঊর্মি চুপিচুপি হাসে। বোঝে ও
, অর্ক চাচ্ছে ও যাক। কিন্তু মুখ ফুটে একবারও বলবেনা ছেলেটা "তুমি আসো, তোমাকে আসতেই হবে।" আশ্চর্য! ভালোবাসতে পারবে কিন্তু বলতে পারবেনা। শুনতে চায় ঊর্মি অর্ক’র এমন পাগল করা ডাক।

হঠাৎ ঘড়ি দেখে ঊর্মি উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলে "ফোন রাখো। আমি বের হবো।"

"
কোথায় যাবে?"
"দেখি.....মন কোথায় নিয়ে যায়" বলে খিলখিল করে হেসে ওঠে।

ওর এই হাসিতেই অর্ক বুঝে যায় ঊর্মি আসছে। মনটা আবার কাশফুলের স্নিগ্ধতায়
ভরে ওঠে। কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনে অর্ক "আমার সারাটা দিন, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি তোমাকে দিলাম।" শ্রীকান্তের কণ্ঠে এই গান শুনলে মনে হয় গানটা শুধুই ঊর্মির জন্যে।

অর্ক কলাবাগান পৌঁছে যায় সোয়া সাতটায়। ফোন দেয় ঊর্মিকে। জ্যামে পড়েছে। অর্ক
পৌঁছে গেছে শুনে ঊর্মি অস্থির হয়। ফোনে কথা বলতে গিয়েই দেরী হয়ে গেল। ঊর্মি নিজেও বেশিক্ষণ ফোনে কথা বলতে পারেনা। কিন্তু অর্ক’র সাথে কোন সমস্যাই হয়না। ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলার পরেও মনে হয় অনেক কথা বাকী রয়ে গেলো। রিক্সা ছেড়ে দিয়ে প্রায় দৌঁড়াতে শুরু করে ঊর্মি। ১৫ মিনিটের মাথায় পৌঁছে যায়। অর্ক রাস্তার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গিয়ে পেছন থেকে "হাহ্" শব্দ করে হালকা ধাক্কা দেয় অর্ককে। অর্ক একটুও চমকায়না দেখে গাল ফুলানোর ভঙ্গী করে ঊর্মি।

"
চমকালেনা কেন? তুমি তো দেখোনি আমাকে।"
"
কে বলে দেখিনি? তুমি আমার আশে-পাশে থাকলেই আমি টের পাই।" দুষ্টু হাসি অর্ক’র ঠোঁটে।
"কচু"। "তোমার গাড়ী এক ঘন্টা লেট করবে তো?"
"
ওমা! সেকি! লেট কেন করবে?"
"বাহ্! আধ ঘন্টা তোমার সাথে থেকে পোষাবে?"
"
হাহাহাহাহাহাহাহা"। শব্দ করে হাসে অর্ক। খুব ভালো লাগছে ওর। মেয়েটা ওকে পাগলের মত ভালোবাসে। বোঝে অর্ক। ও নিজেও কি ভালোবাসেনা!!! ঊর্মির মাঝেই যে ওর বসতি!! অর্ক’র হাসি ঝনঝন করে বাজতে থাকে ঊর্মির বুকের মধ্যে। মন খারাপ হতে থাকে।

যথাসময়ে গাড়ী চলে আসে। অর্ক গাড়ীতে উঠে বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। ঊর্মি
চুপচাপ দাঁড়িয়ে। খুব একটা তাকাতে পারেনা অর্ক’র দিকে। ওর চোখ উপচে পড়ছে অশ্রুজলে। সেটা দেখাতে চায়না অর্ক’কে। “আবার কবে দেখবো তোমাকে সোনা?” মনে মনে বলে।

"
কিছু কি বাকী রয়ে গেল বলা!" ঊর্মির মধ্যে অস্থিরতাটা আবার ফিরে আসে। একদম শেষ সময়ে চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে নেয় অর্ককে। যেন মুখটা গেঁথে নেয় হৃদয়ে।

আনমনে হাঁটতে থাকে ঊর্মি আর ম্যাসেজ লিখতে থাকে। ম্যাসেজ লিখতে লিখতেই
রাস্তা পার হতে থাকে। "Have a safe journey." কথাটা লিখে Send button প্রেস করে বাঁ-দিকে চোখ পড়তে না পড়তেই হেডলাইট এর চোখ ধাঁধানো আলোয় ওর চোখদুটো ঝলসে যায়; পরমুহূর্তেই সবকিছু অন্ধকার।

ঊর্মি
’র ম্যাসেজ পেয়ে অর্ক’র মনে হয় আরো অনেক কিছুই লিখতে চেয়েছিলো মেয়েটা। অর্ক ম্যাসেজ লেখে ঊর্মিকে "তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা, তুমি আমার সাধের সাধনা; আমি আপন মনেরও মাধুরী মিশায়ে তোমারে করেছি রচনা"। ম্যাসেজটা লিখে ও নিজেই একটু লজ্জা পায়। এভাবে ঊর্মিকে ও কখনো বলেনা। আজ কেন বলতে ইচ্ছে করছে? আর কিছু না ভেবে ম্যাসেজটা পাঠিয়ে দেয়। অনেক্ষণ কোন রিপ্লাই না পেয়ে অর্ক ভাবে হয়তো বাসায় পৌঁছে গেছে। ফ্রেশ হয়ে তারপর রিপ্লাই করবে। অপেক্ষা করতে থাকে অর্ক। পরপর আরো কয়েকটা এসএমএস করে, যা ওর স্বভাব-বিরুদ্ধ। একটার রিপ্লাই না পেলে অর্ক কখনোই সেকেন্ড এসএমএস করবেনা। কিন্তু আজ কেমন করছে মনটা। অর্ক বোঝেনা ওর ভেতরের অস্থিরতার কারণ। বিষণ্ন লাগতে শুরু করে। ইচ্ছে করে ঢাকা ফিরে যেতে.....ইচ্ছে করে ঊর্মি’র কাছে যেতে। বাস শহর ছেড়েছে। আজ আকাশে অজস্র তারা। হয়তো প্রতিদিনই থাকে। শহুরে আলোর ভিড়ে এই স্নিগ্ধ আলো নজরে আসেনা। "তুমি সন্ধ্যারও মেঘমালা, তুমি আমার সাধের সাধনা; আমি আপন মনেরও মাধুরী মিশায়ে তোমারে করেছি রচনা; তুমি আমারি তুমি আমারি...মম শূন্য গগন বিহারী"........শ্রীকান্তের কণ্ঠ বাজতে থাকে অর্ক’র হেডফোনে।

দুই পৃথিবি মুভি ডাউনলোড

অভিনয়ঃ       দেব, জিত, কোয়েল
পরিচালকঃ   রাজ চক্রবতি
সংগীতঃ        জিত গাঙ্গুলি

কাহিনি সংক্ষেপঃ
ধনির ছেলে রাহুল । সে হিসাবে সেও ধনি। রাহুলের পৃথিবি আলাদা। আর নন্দিনি তার পৃথিবিও আলাদা।
দুজন দুরকমের ভাবনা। পুরোনো পরিচয়ের জের ধরে আবার দেখা হয় দুজনার। তারপর বাজি ধরে নন্দিনির সাথে ভালবাসায় জরায় রাহুল। তারপর......।।
ওদিকে একচোর সিবু। বাইক চুরি করে যার জীবন চলে। সে আছে তার ধান্দায়। রাহুলের বাইকের দিকে তার নজর পরে। আর বাইক চুরি করতে গিয়ে হয়ে যায় বন্ধুত্ত।
কিন্তু রাহুল বাইরে বাইরে ঘুরছে কেন...।?
 password ..   fdx
ডাউনলোড লিঙ্ক
ডাউনলোড লিঙ্ক ২
ডাউনলোড লিঙ্ক ৩

অঘটন নয়, ইতিহাসের নাম বাংলাদেশ


যারা বাংলাদেশ কে ভালবাসেনা তাদের ভাস্যটা একবার শুনুন।
৭১ সেতো একটা অঘটন। কোনোভাবে পার পেয়ে গিয়েছিলে। যুদ্ধের কোনো নিয়মী তোমরা মানোনি।
আম্বুশ করেছো তোমরা। ধর্মকে অবহেলা করেছো। তোমাদের যুদ্ধ ছিল  অসামাজিক।
 শুনেছেন। বলেন কেমন লাগে?
আরে গাধা নিয়ম প্রথম কারা ভেঙ্গে ছিল?
ক্রিকেট জিতলাম আমরা, ওরা বলে এটাও নাকি অঘটন।
বললাম আমারা বাঘের বাচ্চা, আমরা সব পারি।
বলে “ ও তাই নাকি।তোমরা বাঘের বাচ্চা। আসলে ঘটনাটা কি,
বাঘ তোমাদের মায়ের কাছে এসেছিল। নাকি তোমাদের মা বাঘের কাছে গিয়েছিল”
বল তোরা। যা ইচ্ছা হয় বল। আমারা বাঘ, আমাদের কিছু আসেনা কিছু যায়ওনা।
যে যাই বলুক আমরা থামবনা।
কবিতাঃ
শেরে বাংলার বাঘ আমারা
বুকে আছে প্রত্যয়
এগিয়ে যাব বাঘের মতো
আমারা করবোই জয়।
সম্ভাবনার আছে দুয়ার খোলা
মেলোনা ডানা তুমি দেখাও দোলা।
বাতাস আছে তোমার সাথে
সিন্ধভাবে যাবে ছুয়ে।
ঘাম যেন তোর আঝোর প্লাবন
আবুঝ বাংগালির অশান্ত মন।
এখন সময় গর্জে ওঠার
নিজিকে এবার চিনিয়ে দেবার।
সপ্ন গড়ো অসম্ভব আশায়
আমরা আছি অপেক্ষায়

দীপু নাম্বার টুঃ বাংলা মুভি

ছবি: দীপু নাম্বার টু
কাহিনিঃ মুঃজাফর ইকবাল
পরিচালক: মোরশেদুল ইসলাম
ধরণ: শিশুতোষ অ্যাডভেঞ্চার
প্রকাশ: ১৯৯৬
প্রযোজনা: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম

হলিউড আভাটার VS বলিউড আভাটার

হলিউড আভাটার নিয়ে বিশ্বে অনেক মাতামাতি হয়েছে। আমদের অনেকেরই জানা নেই বলিউডে একটা আভাতার আছে। দুটোর মাঝে আছে অদ্ভুদ কিছু মিল। আসুন দেখি।
পোষ্টার এক

দুটোতেই নায়ক প্যারালাইসড থাকে

কটা সময়ে নায়িকার অনুভুতি একরকম

সর্বশেষটা হলো





 ভালো লাগলে মন্তব্য করতে ভুলবেন না

The Odessa File - অনুবাদ বাংলা ইবুক


আয় সুখ যায় দুখ- সমরেশ মজুমদার এর নতুন বই

তৃতীয় তার অপেক্ষায়--- গল্প


১ম……।
ডাঃ মারুফ চেয়ারে হেলিয়ে আছে। আজ তার মনটা বেশি ভালোনা।রাত বাজে ৩টা। মাত্রই একটা অপারেশন করে আসলো।এখন একটু বিশ্রাম দরকার।
আর একটু হেলে, মারুফ একটা সিগারেট জালালো। টানা ৩০ সেকেন্ড টানলো। তারপর এক গাল ধোয়া ছাড়লো।
রিতার কথা খুব মনে পড়ছে।রিতা নাকি বাংলাদেশ এসেছে।সাথে স্বামি আর ৪ বছরের বাচ্চা।
একবার দেখাও কি করবেনা?
মারুফ ভাবল,রিতা না এসে থাকতে পারবেনা।পরক্ষনেই ভাবলো, রিতার দ্বারা সব সম্ভব। তা না হলে কি আর ৮ বছর আগে ৪ বছরের ভালবাসা শেষ করে দিয়ে কেউ চলে যায়। ভাবতে ভাবতে হালকা তন্দ্রায় গেলো সে।
২য়……………
রিতা আর মারুফের ৪ বছর প্রেম ছিল। বিয়ে হয়নি। মারুফের প্রবল ইছছা শক্তি,রিতার অনিছ্ছার কাছে হেরে যায়।
রিতার যখন বিয়ে ঠিক, তখন মারুফ বেকার।বেকারত্তই রিতার অনিছছার কারন।
রিতাও মারুফকে প্রচন্ড রকমের ভালবাসত। কিন্তু নিয়তি।কি আর করতে পারতো সে। পালিয়ে যেতে পারতো মারুফের সাথে।তারপর। আবারতো ফিরে আসতে হতো বাবা মায়ের কাছে।
তাই সব দিক চিন্তা করেই ওকে বিয়ে না করার সিধান্ত নেয় রিতা।
রাসেল নামের একটা ছেলের সাথে বিয়ে হয় রিতার। বিয়ের
৩ মাসের মধ্য ওরা কানাডা চলে যায়।
তারপর মারুফ একা একা নিজের জীবন সাজায়।হয়তো
কোনোদিন ফিরে আসবে রিতা,
আবার শুরু হবে সেই মধুর দিন গুলো।
৩য়………।।
অপেক্ষা করতে করতে প্রায় ৮ বছর কেটে গেল ।গতকাল ঢাকায় এসেছে রিতা।রিতার এক বান্ধবি জানিয়েছে মারুফকে।মারুফ অপেক্ষায় আছে, কখন আসবে রিতা ।
এসে বলবে, ‘চল মারুফ আমরা নতুন করে জীবন শুরু করি’।
এসবই ভাবছিলো মারুফ।
৪র্থ……………।।
চেম্বারের দরজা নক করার শব্দে ঘোর ভাঙলো মারুফের।
‘আসতে পারি’ মেয়ে কন্ঠের প্রশ্ন।
এতো রাতে আবার কে?
কোনো রুগির আত্মীয় হবে হয়তো। এরা যা জালায় না।
ভাবছে মারুফ।
‘জি’ মারুফ বলল।
লাল শাড়ি পড়া একটা মেয়ে ভিতরে ঢুকলো।মারুফ অবাক তাকিয়ে রয়েছে।
রিতা একটু ও বদলাইনি। শেষবার যেমন দেখেছে এবারও ঠিক তেমনই আছে।
‘কেমন আছ তুমি’ রিতা বলল।
‘যেমন রেখেছ’ মারুফ বলল।
‘মানে কি?’
‘সবাই এক রকম না।তুমি আমায় ভুলে গেলেও আমি তোমায় ভুলতে পারিনি’।
‘আমি ভুলে গেছি, কে বলল?’
‘ না ভুলে গেলে এতদিন পর খবর নিলে। একটা ফোনও করা যেত’
‘ বিয়ে করোনি কেন?’
‘ তোমার জন্য’
‘ মানে কি?’
‘তুমি আবার ফিরে আসবে।সেই আশায় বিয়ে করিনি’
‘কিন্তু সে আশাতো পুরন হবেনা’
‘জানি।তোমার কথা শুনে বোঝা যাছ্ছে’
‘তোমার খবর কি বল?’ রিতা বলল।
‘এতক্ষন কি বললাম?’
‘কেমন আছ তুমি?’
‘ভাল,তুমি কি কারনে এসেছো?’
‘ক্ষমা চাইতে’
‘বুঝলাম না?’
‘আমি তোমায় অনেক কষ্ট দিয়েছি যা আমার একদম ঠিক হয়নি’
‘তুমি আমায় কেন কস্ট দিবে? তুমি তোমার সুখ দেখেছ।
আর দশটা মানুষ যা করতো তুমিও তাই করেছো।এতে আবার
ক্ষমা চাওয়ার কি আছে?’
‘তার মানে আমা্র চলে যাওয়াতে তুমি কোনো কস্ট পাওনি’।

মারুফ মাথা নাড়াল।
‘তাহলে আমার জন্য অপেক্ষা করে আছ কেন?’
‘রিতা তুমি খুব ভাল করে জান, আমি প্লান ছাড়া কোনো কাজ করিনা। আমার সংসার জীবনটা তোমায় নিয়ে প্লান করা ছিল। তুমি নেই তাই সংসারও নেই’।
‘আমার কথার জবাব দাও’।
‘ওকে। আমার কেন যেন মনে হতো তুমি একদিন আমার কাছে ফিরে আসবে।এসে বলবে,
“মারুফ আসো আমরা সব ঠিক করে ফেলি” ’।
‘আর সেই অপেক্ষায় তুমি বিয়ে না করে কাটিয়ে দিলে’
‘হুম’ মারুফ হালকা সুরে বলল।
‘ভাল কথা, তা এভাবে আর কতোদিন অপেক্ষা করবে তুমি? আমি বুঝিনা তুমি এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলে কিভাবে? আমিতো বেশ সুখি আছি।তুমি কেন নিজেকে কষ্ট দিছছ?’
‘ আমার অপরাধ বোধ কাজ করে।আমার এ হাত অন্য কাউকে স্পর্শ করতে পারেনা।
আজও তোমার গন্ধ লেগে আছে আমার গায়ে। আমি অনুভব করি।আর সেজন্যই এই সীদ্ধান্ত’
কথাটা যেন বোমা ফাটালো, দুজনেই চুপ।হঠাৎ রিতা উঠে দাড়াল, চেম্বার রুমের এক কোনায় গিয়ে দাড়ালো।এতক্ষনে মারুফ খেয়াল করলো, রিতা ওর ঠিক সামনে বসে আছে। দরজাটাও খোলা। এখন মারুফের অফ টাইম। তারপরও রাত বাজে ৩টা।এতো রাতে একটা মেয়ে নিয়ে বসে গল্প করা ভালো দেখায় না।
রিতা সরে যাওয়াতে মারুফ মনে মনে খুশি হলো। মারুফ উঠে গিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দিল। রিতার সামনে গিয়ে দাড়াল। রিতা দেয়াল ঘেসে দাঁড়িয়ে আছে।
‘ বুকে হাত রেখে বল তুমি কি আমায় ভুলতে পেড়েছো?’ মারুফ বলল।
‘ আমার পড়ার টেবিলে তোমার নাম লেখা ছিল, সেটা আজ এতো বছর পরও মুছে যায়নি। হৃদয়ের চিণ্হ কিভাবে মুছে যাবে’ রিতা বলল।
মারুফ এতো সুন্দর কথা জিবনে শোনেনি। এটা যে কেউ ওর মুখ দেখলেই বুঝতে পারতো।
মারুফ রিতার চুলে হাত দিলো।চুল সরিয়ে দিলো, মুখের উপর থেকে।
মারুফ যেন হারিয়ে গেল, নতুন কোনো জগতে, নতুন কোনো মায়াতে।
দরজা নকের শব্দে মারুফের ঘোর ভাঙলো।
‘কে?’
‘স্যার আমি রানা। নতুন একটা রুগি এসেছে, একটু দেখবেন?’
‘ না তুমি দেখ। লেখা পড়া করোনি জিবনে?’
অন্য সময় হলে মারুফ ঠিকই যেত। এখন রিতা পাশে, কতোদিন পর এই মানুষটার দেখা পেল সে। এই সময়টার জন্য কতো অপেক্ষা। কতো প্রার্থনা।সব কিছু শেষে তার মনের মানুষটা আজ তার পাশে । যে কোনো কিছুর বিনিময়ে সে এই সময়টাকে বৃথা হতে দেবেনা । হয়তো এ সময়টাকে মনে করে বাকি জীবনটা কাটাতে হবে তার।

রিতা ততক্ষনে মারুফের হাত সরিয়ে দিয়েছে।
‘ ভুলে যেওনা মারুফ, আমি একজনের মা’ রিতা বলল।
মারুফ মনে মনে খুব লজ্জা পেল। কতটা আবাগী সে হয়ে পরেছিল।
‘ তোমার বাচ্চা কেমন আছে?’
‘ ভাল না। কাদছে……’
‘ কাদে কেন?’
‘ সেটা তোমার না জানলেও চলবে’
‘ তোমার স্বামি?’
‘ সে নির্বাক……’
‘ মানে কি?’
‘সেটা তোমার না জানলেও চলবে’
‘ তোমার ফ্যামেলির খবর কি?’
‘ তারাও কাদছে……’
‘ কিসব উদ্ভট উত্তর দিছছ তুমি’
‘ তারা এখন কাদছে । আর আমি তাই বললাম’
‘ তুমি কিভাবে জানো যে তারা কাদছে?’
‘ আমি দেখেছি’
‘ ও মাই গড । আমি মনে হয়, বুঝতে পারছি। তুমি আমার জন্য তোমা্র স্বামিকে ছেড়ে চলে এসেছো। এতে তোমার ফ্যামেলি বাধা দিলে তুমি তাদেরকেও ছেড়ে এসেছো। আর এজন্যই সবাই কাদছে’
‘ এমন হলে খুব ভালো হতো। তাইনা মারুফ’
আবার দরজার শব্দে ওদের কথায় ভাটা পড়লো।
‘স্যার তাড়াতাড়ি বাইরে আসেন। একজন মারান্তক রুগি এসেছে।খুব খারাপ অবস্থা’
‘ তুমি যাও আমি এখন ব্যস্ত’
হঠাত করেই রিতাকে খুব অস্থির মনে হল।সে মারুফ কে বলল‘ তুমি যাও মারুফ’
‘ না আমি যাবনা। আমি গেলেই তুমি চলে যাবে’
‘ তুমি যাও মারুফ, তুমি যাও’
‘ না না না’
‘ স্যার রুগির নার্ভ ধিরে ধিরে কমে আসছে। মনে হয় বাচানো যাবেনা। আপনি একটু দেখে যান’
‘ তুমি যাও মারুফ। যলদি যাও । বাচাও। জীবন বাচাও’
‘ কিন্তু আমি গেলেইতো তুমি চলে যাবে’
‘ না আমি যাবনা’
‘ আমি তোমায় বিশ্বাস করিনা। তুমি আমায় বলে ছিলে আমার ছাড়া আর কারও হবেনা’
‘ তোমার পায়ে ধরি তুমি যাও’
‘ তাহলে আমার মাথায় হাত দিয়ে কসম কাটো, তুমি যাবেনা’
রিতা তাই করল। ওদিক কমপাউন্ডার ডেকেই চলছে।
মারুফ দরজা খুলেই দৌড় দিল। পাশের কেবিনে রুগি। মারুফ কেবিনে ঢুকে রুগির দিকে না তাকিয়েই তার হাত ধরলো। রুগির দিকে তার কোনো খেয়াল নেই। সে তাকিয়ে আছে তার চেম্বারের দিকে।এখান থেকে রিতার আচল দেখা যাছছে।
এবার সে মনোযোগ দিল রুগির দিকে। নার্ভটা ধিরে ধিরে কমে যাছছে।
মারুফ রুগির মুখের দিকে তাকাল। চোখের সামনে যবাই করা দেখলেও মানুষ এতো অবাক হয়না, মারুফ যতোটা হলো।
এটা যদি রিতা হয় তাহলে ওটা কে?
ওটা যদি রিতা হয় তাহলে এটা কে?
মারুফ বুঝতে পারলো।


মনে মনে বলল, তোমার কিছু হবেনা, আমি আছিনা।
তুমি আমায় ছেড়ে যাবেনা । যেতে পারোনা। আমি তোমায় যেতে দিবোনা।

মারুফ নার্ভটা আরেকবার পরিক্ষা করলো। কিন্তু এবার আর সেটার অস্তিত্ত পাওয়া গেল না । মারুফ হাত টা ছেড়ে দিল। যেন গরমে ছ্যাকা খেয়েছে।
নার্স এসে নাকে অক্সিজেন লাগালো। কোনো কাজ হলনা।
শেষে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে,দিল রিতার মুখ।
৫ম…………।।
মারুফ কেবিন থেকে বেরিয়ে আসলো। দেখলো, রিতা করিডোর দিয়ে হেটে চলে যাছছে। মারুফের ডাক অগ্রায্য করে। রিতা হাটতে হাটতে জালনা দিয়ে বের হয়ে গেল।
নিচে যায়নি। উপরে উড়ে গেলো।
মারুফ করিডোরে বসে পড়লো।বিশ্বাস করতে কস্ট হছছে ওর।


রিতা তাহলে চলে গেল।
কথা রাখলো না।

প্রথম রিতা কথা রাখেনি, অন্য কারও হাত ধরে চলে গেল অনেক দূর।
দ্বিতিয় রিতাও কথা রাখনি, চলে গেল…।
না এটাতো হতে পারেনা। রিতা তার আগে চলে যাবে এতা কিভাব হয়।
মারুফের অটল বিশ্বাস রিতা আবার আসবে। বলবে ‘ এসো মারুফ আমরা সব ঠিক করে ফেলি’।
এখন শুধু অপেক্ষা ।
তৃতীয় তার অপেক্ষা 
 বিঃদ্যঃ এই গল্পটা লিখে সব থেকে বেশি মন্তব্য পেয়েছি আমি। কিন্তু মন খারাপ হল তখন কেউ একজন আমাকে জানাল যে আমি নাকি কাহিনি নকল করেছি।

বেচে থাকিস ভালো কাজের মাঝে। গল্প



আমি এখন একটা গল্প শুনাবো।
গল্পটা আমাকেই বলতে হবে, কারন গল্পের সাথে আমি জড়িত।
আর ১০ টা টিন এজদের মত আমাদেরও একটা ব্যাছ আছে। ১০, ১৫ জন বন্ধু এবং ৫,৭ টা মেয়ে নিয়ে গড়ে উঠেছে আমাদের এই ব্যাছ।
আমাদের ব্যাছে একটা ছেলে ছিল, নাম রনি আমাদের মধ্যে অনেকে ওকে পছন্দ করতাম না। কারন ছেলেটা ব্যায়াদব।নিজের বাবাকে নিয়ে সে প্রচন্ড বাজে কথা বলতো।
উদাহরনঃ ‘আমার বাপটারে দেখলে আমার গা জলে।কথা কইতেই ইছছা করেনা।তার কাম কাজ কিছুই আমার ভাল লাগেনা’।
এই হল তার অবস্থা। নিজের বাবা সর্ম্পকে যে এই কথা বলতে পারে সেতো মানুষও খুন করতে পারে।
তাই সে ছিল আমাদের চোখের বালি। আমাদের এক বন্ধুর, আবার
কাছের বন্ধু তাই কিছু বলতেও পারতাম না।
সে আবার আমাকে খুব পছন্দ করত। কারন কি তা কখনো জানা হয়নি।
একদিন সে এসে আমাদের কাছে এসে বলল ‘ দোস্ত আজ আমি তোদের খাওয়াবো। কি খাবি বল?’
কারনটা জানতে চাইলে ও যা বলল তা অনেকটা এরকম
‘ওর বাবা তার নিজের চাকরি থেকে স্কলার সিপ পেয়েছে । আগামি মাসে ওরা পুরো পরিবার কানাডা চলে যাছেছ।ওর আবার বিদেশে পড়ার খুব শখ।তাই সে মহাখুশি।
খেতে খেতে রনি বলল ‘ দোস্ত বাবার উপর এতোদিন খালি খালি রাগ করেছি। আমি ভাবতাম বাবা খুব অলস।আসলে ব্যাপারটা তা না।বাবা নিজের যোগ্যতায় স্কলার সিপ পেয়েছে। বাবা সারাদিন মায়ের সাথে ঝগড়া করততো সে জন্য আমার মাথা গরম থাকতো।
যা হোক সামনের মাসে ওদের ফ্লাইট। ওরা চলে যাবে কানাডা। রনি। ওর ছোট দু ভাই জনি ও মনি। মা, বাবা সবাই।


ওর প্রেমিকা আবার এটা নিয়ে ঝামেলা সৃস্টি করলো। কত আবেগী কথা।তুমি আমায় ছাড়া যাবেনা । কোথাও যাবেনা। আমি তোমায় ছাড়া থাকতে পারবনা।

পরে কিভাবে কিভাবে যেন রনি ওকে বুঝিয়ে ছিল।
……………………।
হঠাৎ করে একটা জিনিষ খেয়াল করলাম যে রনি যেন কেমন হয়ে গেছে।
আসে আর যায় , কথা কম বলে। আগে প্রচুর চাংগা ছিল।
বন্ধুদের কাছে বলতেই ওরা বলল যে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেতো,তাই হয়তো খারাপ লাগছে।
ও আমাদের কাছে যা শেয়ার করতো তার চেয়ে বেশি শেয়ার করতো ওর প্রেমিকার কাছে । সব বলতো।
এটা আমি পড়ে জানেছি।
হঠাৎ একদিন সন্ধায়, ও এসে আমাকে বলল দিপ একটু এদিকে আয়।
আমি বললাম, যা বলার এখানে বল। উঠতে পারবনা।
কারন আমি উঠলেই, আমি যেখানে বসা সেখনে অন্য কেউ বসে যাবে। পরে আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
ও আর কিছু বলেনি। চুপ করে ছিল।
কারেন্ট আসলে সবাই বাসায় যাবার জন্য উঠে পরলো।
আমার বাসায় সেদিন লোক ছিল না তাই আমি বসে ছিলাম।
রনিও বসে ছিল।
দিপ একটা কথা ছিল।
বল
আছছা একটা মানুষ যদি জানে, তার বাবা নেই। মানে তার কোনো পরিচয় নেই। তাহলে তার কি করা উচিত।
আমি কিভাবে বলব।
না তুই গল্প-তল্প লিখিস তো তাই।
এই প্রশ্ন কেন
আমি একটা গল্প লিখছি তাই।
মেরে ফেল।।
মেরে ফেলব?
হিম তাহলে মানুষ বুঝতে পারবে বাবা না থাকার দূঃখ কি?
আচ্ছা।
তারপর ওর সাথে আমার প্রায় ১০ দিন দেখা হয়নি।
রনিদের বিদেশে যাবার ডেট প্রায় কাছিয়ে এসেছে।
………।।
রাত ১২;৩০। আমি ফেসবুকে।
রনি ফোন করল আমাকে।
‘ দোস্ত একটা হেল্প কর তো’
‘বল’
‘নেটে দেখতো, জিন সমন্ধে কি লেখছে’
‘ জিন দিয়ে তুই কি করবি’
‘ আরে তুই দেখনা।‘
‘ জিন না dna’
;হ্যা হ্যা dna’
নেটে না ঢুকে যা জানি তাই বললাম।
‘ দোস্ত বাংলাদেশের dna টেস্ট কেমন, উন্নত?’
‘হ্যা। ভালইতো। কেন?’
‘না আমার উপন্যাসে লাগবে। দোস্ত তারে কি বলা যায়,?’
‘ বে জন্মা।‘
তার পড়ের দিন সকালে রনি মারা যায়।
আন্তহত্যা করে।
তিন পাতা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ছিলে সে।
সকালে মরা অবস্থায় ঘর থেকে বের করা হয়।
কেন যেন আমার বিশাস হছছিল না।
কাল রাতেও না আমি ওর সাথে কথা বলাম।
সকালে সেই মানুষ টা নেই।
আমাদের বন্ধুদের ভিতরে কেউ কাদেনি।
বেশি কস্টে কাদা যায়না।
কেদেছিলো ওর প্রেমিকা।
মেয়েটাকে দেখে মনে হছচ্ছিল এখন মারা যাবে।
……।
ভেবে ছিলাম ওর প্রেমিকার সাথে ঝগড়ার কারনে এই কাজ়টা করেছে।
পরে জানতে পারলাম আসল কাহিনি।
বিদেশে যেতে হলে dna টেস্ট করাতে হয়।
ওর ছোটো দুই ভাইয়ের সাথে ওর বাবার dna মিলেছে ।
ওর সাথে মেলেনি।
আমার নিজের উপর খুব রাগ হছচ্ছিল।
কেন যে ব্যাপারটা আমি ধরতে পারলাম না।
…………………………।
তার পর থেকে আজ পর্যন্ত কারো মন খারাপ থাকতে দেখলে,
আমি তার সব কিছু বের করার চেস্টা করি, অবহেলা করিনা।
মৃত মানুষকে নাকি মনে রাখতে নেই
তাহলে নাকি তাদের অসম্মান করা হয়।
 বিঃদ্যঃ বরাবর আমার নামে একটা কমপ্লান থাকে তাহলো আমার লেখায় নাকি রিয়েলিটি থাকেনা।
তাই আনার চেষ্টা করলাম।

প্রানঘাতিকা-গল্প


সবাই বলে, আমি নাকি অত্যাধিক সুন্দরি।
কথাটা মিথ্যা না। আমি সত্যি সুন্দর ।
আমার গায়ে কোনো ঘা নেই। একেবারে ফ্রেশ।আমার চোখ অত্যন্ত মায়াবী।
যে দেখে সেই তাকিয়ে থাকে।
পাশের এলাকার ওই লম্বুটা এমন ভাবে তাকায়। তার আর কি বলব।
আমার ওকে একদম ভালো লাগেনা। খুব বেয়াদব।খুব। আমার বান্ধবির বড় বোনের সাথে উলটো পালটা কি যেন করে,বাবা ওকে একদম দেখতে পারেনা।
মা ওর থেকে দূরে থাকতে বলেছে।
কিন্তু ছেলেটা ফাজিল একদম পিছন ছাড়েনা।যেখানে যাই পিছন পিছন যায়।
পানি খেতে ঝরনা এলাকায় গেলে,সে পিছু পিছু যায়।সে নেতা টাইপের তাই,তাকে কেউ কিছু বলেনা।
আমি তাকে পছন্দ করিনা, আমার এক বান্ধবি তাকে খুব পছন্দ করে।কি দেখে যে পছন্দ করে।
আমি একজনকে পছন্দ করি, তার নাম পাঞ্চি, সে খুব সুন্দর।চোখ গুলো বড় বড়।হাসলে যে সুন্দর লাগে।
আমাদের হরিণ সমাজে সবথেকে সুন্দর সে।সেও আমাকে ভালোবাসে।
জোৎন্মা রাতে সে আমাকে বলেছে।
জ্যোৎস্না রাতে কেউ মিথ্যে বলেনা।
সে আমার সাথে আজ দেখা করতে আসবে।
আমি ঝরনার পাশে তার জন্য অপেক্ষা করছি।
বেশি সাজতে পারিনি।পাশের ফুলের বনে গিয়ে কিছুক্ষন গড়াগড়ি করে আসলাম।গা দিয়ে ভাল গন্ধ বেরোচ্ছে।
তার অনেক ভালো লাগবে।

………………।
তার সাথে আমার দেখে হয়েছে।সে আসতে দেরি করেছে।
তার মামাতো ভাইকে নাকি মহারাজার এক সেপাহি ধরে নিয়ে গেছে।
আমাদের সমাজ একদম ভালনা। রাজারা সবাই নিষ্ঠুর। হরিন
প্রজাদের খায়। এটা ঠিক না।
সে আমার জন্য একটা গাছের ছাল এনেছে। খুব সুন্দর।রসে ভরা। নাম বলেনি। উওরের বন থেকে এনেছে।
সে খুব ভিতু।
একবার তামাশা করে বললাম যে, দেখেন রাজার সেপাহি এসেছে।বলতেই, সে যে কি ভয় পেয়েছে।
তার সিং গুলো অনেক সুন্দর।

আমি যতক্ষন বাসায় না এসেছি,সে দূর থেকে ততক্ষন আমাকে দেখছে। সে আমায় খুব ভালোবাসে।
……………।
বাবা বাসায় এসেছে। খাবারের খোজে গিয়েছিল।
আমায় দেখে একটা মিস্টি হাসি দিয়ে বাবা ঘরে চলে গেল।
আমার ছোট ভাইটা দিন দিন নস্ট হয়ে যাচ্ছে ওই লম্বুর সাথে মিশে। বাবাকে বুঝায় যে, সে খাবারের খোজে যায়। কই যে যায়
কে জানে?
মাকে আমি পাঞ্চির কথা বলেছি।
মা তো অবাক, ওই সুন্দর ছেলে তোর সাথে প্রেম করে!
বিশ্বাসই করলনা।
………………।।
সকাল থেকে মন খারাপ। আমি আর কাদতে পারছিনা।
মা এখনো কাদছে।
ভাইটার যেন কিছুই হয় নি।
আমি যদি কোনোদিনও ক্ষমতা পাই, তাহলে সব রাজাদের ধংস করে দেব। তারা ভালোনা, একদম ভালোনা। তারা আজ আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে।তারা খুব খারাপ।

বাবা নেই, এখন আমাদের কি হবে।
ভাইটারে দিয়ে কিছুই হবেনা। তার কাজ সারাদিন ঘোরা।
আমি যুবতি মেয়ে।খাবা্রের খোজে আমাকে কিছুতেই বের হতে দেবেনা।
দল ধরে খেতে গেলে মেয়েদের কম দেওয়া হয়।
পুরুষরা বেশি খায়। তার খুব পরিশ্রম করে। তাই।
পাঞ্চি কিছু খাবার দিয়েছে, তাই দিয়ে দিন কয়েক চলেছে।
তার বাবার আবার প্রচুর রাগ।সে পাঞ্চিকে আমাদের কাছে আসতে নিশেধ করেছে।পাঞ্চি তার বাবাকে খুব ভয় পায়।
রাজাদের চেয়েও বেশি।
শেষমেষ মা’ই নামলো খাবারের খোজে।
…………………।
আমি কোথায় যাব। আমার যাওয়ার কোন জায়গা নেই। আর এখানে এভাবে থাকা সম্ভব না।একা একা এক গুহায় বেশিক্ষন থাকা যায়না।
মাকে আজ নিয়ে গেছে, আমার খুব রাগ হচ্ছে ওই দুপায়ি প্রানিগুলোর উপর।
তারা খুব ভয়ংকর। রাজাদের চেয়েও।তাদের হাতে যেন কি একটা থাকে, তা দিয়ে খুবজোর শব্দ হয়।আর সাথে সাথে মরে যায় হরিনরা।এরা খুব খারাপ।
ভাইটাও আসছে না । একা একা খুব ভয় লাগছে।

একটু আগে লম্বুটা এসেছিল।
আবার চলে গেছে।
আমি ওকে খুব ভয় পাই।
……………।
লম্বুর সাথে শিকারে গিয়ে আমার ভাইটাও আজ মারা গেছে,
আমি হয়ে গেলাম বড় একা। নিস্ব।
আমকে দেখার মত কেউ রইলনা।
না আছে। পাঞ্চি আছে।
আজ রাতেই পাঞ্চির সাথে দেখা করতে হবে।
আমি খবর পাঠালাম।
………………
সে আসেনি।সেও আমার সাথে এমন করলো!
………………
দুপুরে, আমি আর থাকতে পারলাম না। পাঞ্চির কাছে ছুটে গেলাম।
ওর বাবা কাছে ছিল। তারপরও আমি গেলাম। এখন ভয় পেলে চলবে না।বাবা আমাকে বকা দিলো। পাঞ্চিকেও বকা দিল
বলল ‘এই মেয়ে ভালনা। রাতে গুহায় একা থাকে, ওর গুহার কাছে আমি ওই লম্বুটাকে ঘোরা ঘুরি করতে দেখেছি।
তুমি আর ওর সাথে মিশবেনা’।
আমার খুব খারাপ লাগল।
কারন আমি জানি, পাঞ্চি ওর বাবার কথা ছাড়া কিছুই করবেনা।
তাহলে আমার আর কিছুই থাকলো না।
……………।
ভিড় আমার ভাল লাগেনা।তাই দূরে বসে আছি।আমার আর বেচে থেকে লাভ কি, আমাকে দেখার মতো কেউই নেই।
যার কেউ নেই তার বাচতে নেই।
কিন্তু আমার বেচে থাকার খুব ইচ্ছা।
আমার একটা সপ্ন আছে।
আমার স্বামি থাকবে,দূটো সন্তান থাকবে। আমি আর আমার স্বামি তাদের নিয়ে উত্তরের বনে খাবার আনতে যাব।
ফুলবনে গড়াগড়ি করব।
কিছুই কি পুরন হবেনা?
……………
লম্বুটা এখানে কি চায়?
আমার খুব ভয় করছে।
সে ধিরে ধিরে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
তার চোখ দুটো জলছে।
সে দৌড় দিল।
আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ল।
হঠাৎ করে সে আমার পিঠে উঠে গেলো।
প্রচন্ড ব্যাথায় আমার সারা শরির অবশ হয়ে গেল।
প্রথমে অনেকক্ষন তার থেকে বাচার চেস্টা করলাম।
শেষ রক্ষা হয়নি।পরে আর বাধা দেই নি।
সে তার চাহিদা মিটিয়ে আমায় ছেড়ে চলে গেল।
আমি জানি এসব পাঞ্চি দেখেছে।
তার নিশ্চিই খুব কস্ট লেগেছে।
কস্ট ভালনা। একদম ভাল না।
…………।।
আমি যাচ্ছি ,সব ছেড়ে যাচ্ছি।
দক্ষিনের দিকে যাচ্ছি।
সেখনে রাজারা থাকে।
বিঃদ্র= একদিন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে দেখলাম, সিংহের তাড়া খেয়ে সকল হরিন দৌড়াচ্ছে, একটা উল্টো। সে সিংহের দিকেই
যাচ্ছে।