অসাধারন একটা মুভি গ্রুপ। প্রায় সব ইউজাররা একটিভ। নিয়মিত তারা বিভিন্ন মুভি শেয়ার করে হেল্প করছে পাশাপাশি হেল্প নিচ্ছে। চলছে আলোচনা। চলছে তর্ক। সবাই গ্রুপের নিয়ম মেনে গ্রুপ্টাকে নিজের মতো ভালোবেসেছে। যা আমাদের যারা মুভি দেখি তাদের জন্য কতো প্রয়জনিয় তা বলার বাইরে। আপনি চাইলেই এই গ্রুপের সদস্য হতে পারেন। আপনিও আপনার পছন্দের মুভিটি শেয়ার করতে পারেন। জেনে নিতে পারেন অন্যদের ভালোলাগার মুভি। আলোচনা করতে পারেন।চ শুধু এক্টিভ থাকার চেস্টা করবেন।গ্রুপের নিয়মকানুন মেনে চলুন। মুভি লাভার এখানে কিল্ক করে আমাদের প্রিয় গ্রুপের সদস্য হয়ে যান

বেচে থাকিস ভালো কাজের মাঝে। গল্প



আমি এখন একটা গল্প শুনাবো।
গল্পটা আমাকেই বলতে হবে, কারন গল্পের সাথে আমি জড়িত।
আর ১০ টা টিন এজদের মত আমাদেরও একটা ব্যাছ আছে। ১০, ১৫ জন বন্ধু এবং ৫,৭ টা মেয়ে নিয়ে গড়ে উঠেছে আমাদের এই ব্যাছ।
আমাদের ব্যাছে একটা ছেলে ছিল, নাম রনি আমাদের মধ্যে অনেকে ওকে পছন্দ করতাম না। কারন ছেলেটা ব্যায়াদব।নিজের বাবাকে নিয়ে সে প্রচন্ড বাজে কথা বলতো।
উদাহরনঃ ‘আমার বাপটারে দেখলে আমার গা জলে।কথা কইতেই ইছছা করেনা।তার কাম কাজ কিছুই আমার ভাল লাগেনা’।
এই হল তার অবস্থা। নিজের বাবা সর্ম্পকে যে এই কথা বলতে পারে সেতো মানুষও খুন করতে পারে।
তাই সে ছিল আমাদের চোখের বালি। আমাদের এক বন্ধুর, আবার
কাছের বন্ধু তাই কিছু বলতেও পারতাম না।
সে আবার আমাকে খুব পছন্দ করত। কারন কি তা কখনো জানা হয়নি।
একদিন সে এসে আমাদের কাছে এসে বলল ‘ দোস্ত আজ আমি তোদের খাওয়াবো। কি খাবি বল?’
কারনটা জানতে চাইলে ও যা বলল তা অনেকটা এরকম
‘ওর বাবা তার নিজের চাকরি থেকে স্কলার সিপ পেয়েছে । আগামি মাসে ওরা পুরো পরিবার কানাডা চলে যাছেছ।ওর আবার বিদেশে পড়ার খুব শখ।তাই সে মহাখুশি।
খেতে খেতে রনি বলল ‘ দোস্ত বাবার উপর এতোদিন খালি খালি রাগ করেছি। আমি ভাবতাম বাবা খুব অলস।আসলে ব্যাপারটা তা না।বাবা নিজের যোগ্যতায় স্কলার সিপ পেয়েছে। বাবা সারাদিন মায়ের সাথে ঝগড়া করততো সে জন্য আমার মাথা গরম থাকতো।
যা হোক সামনের মাসে ওদের ফ্লাইট। ওরা চলে যাবে কানাডা। রনি। ওর ছোট দু ভাই জনি ও মনি। মা, বাবা সবাই।


ওর প্রেমিকা আবার এটা নিয়ে ঝামেলা সৃস্টি করলো। কত আবেগী কথা।তুমি আমায় ছাড়া যাবেনা । কোথাও যাবেনা। আমি তোমায় ছাড়া থাকতে পারবনা।

পরে কিভাবে কিভাবে যেন রনি ওকে বুঝিয়ে ছিল।
……………………।
হঠাৎ করে একটা জিনিষ খেয়াল করলাম যে রনি যেন কেমন হয়ে গেছে।
আসে আর যায় , কথা কম বলে। আগে প্রচুর চাংগা ছিল।
বন্ধুদের কাছে বলতেই ওরা বলল যে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেতো,তাই হয়তো খারাপ লাগছে।
ও আমাদের কাছে যা শেয়ার করতো তার চেয়ে বেশি শেয়ার করতো ওর প্রেমিকার কাছে । সব বলতো।
এটা আমি পড়ে জানেছি।
হঠাৎ একদিন সন্ধায়, ও এসে আমাকে বলল দিপ একটু এদিকে আয়।
আমি বললাম, যা বলার এখানে বল। উঠতে পারবনা।
কারন আমি উঠলেই, আমি যেখানে বসা সেখনে অন্য কেউ বসে যাবে। পরে আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
ও আর কিছু বলেনি। চুপ করে ছিল।
কারেন্ট আসলে সবাই বাসায় যাবার জন্য উঠে পরলো।
আমার বাসায় সেদিন লোক ছিল না তাই আমি বসে ছিলাম।
রনিও বসে ছিল।
দিপ একটা কথা ছিল।
বল
আছছা একটা মানুষ যদি জানে, তার বাবা নেই। মানে তার কোনো পরিচয় নেই। তাহলে তার কি করা উচিত।
আমি কিভাবে বলব।
না তুই গল্প-তল্প লিখিস তো তাই।
এই প্রশ্ন কেন
আমি একটা গল্প লিখছি তাই।
মেরে ফেল।।
মেরে ফেলব?
হিম তাহলে মানুষ বুঝতে পারবে বাবা না থাকার দূঃখ কি?
আচ্ছা।
তারপর ওর সাথে আমার প্রায় ১০ দিন দেখা হয়নি।
রনিদের বিদেশে যাবার ডেট প্রায় কাছিয়ে এসেছে।
………।।
রাত ১২;৩০। আমি ফেসবুকে।
রনি ফোন করল আমাকে।
‘ দোস্ত একটা হেল্প কর তো’
‘বল’
‘নেটে দেখতো, জিন সমন্ধে কি লেখছে’
‘ জিন দিয়ে তুই কি করবি’
‘ আরে তুই দেখনা।‘
‘ জিন না dna’
;হ্যা হ্যা dna’
নেটে না ঢুকে যা জানি তাই বললাম।
‘ দোস্ত বাংলাদেশের dna টেস্ট কেমন, উন্নত?’
‘হ্যা। ভালইতো। কেন?’
‘না আমার উপন্যাসে লাগবে। দোস্ত তারে কি বলা যায়,?’
‘ বে জন্মা।‘
তার পড়ের দিন সকালে রনি মারা যায়।
আন্তহত্যা করে।
তিন পাতা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ছিলে সে।
সকালে মরা অবস্থায় ঘর থেকে বের করা হয়।
কেন যেন আমার বিশাস হছছিল না।
কাল রাতেও না আমি ওর সাথে কথা বলাম।
সকালে সেই মানুষ টা নেই।
আমাদের বন্ধুদের ভিতরে কেউ কাদেনি।
বেশি কস্টে কাদা যায়না।
কেদেছিলো ওর প্রেমিকা।
মেয়েটাকে দেখে মনে হছচ্ছিল এখন মারা যাবে।
……।
ভেবে ছিলাম ওর প্রেমিকার সাথে ঝগড়ার কারনে এই কাজ়টা করেছে।
পরে জানতে পারলাম আসল কাহিনি।
বিদেশে যেতে হলে dna টেস্ট করাতে হয়।
ওর ছোটো দুই ভাইয়ের সাথে ওর বাবার dna মিলেছে ।
ওর সাথে মেলেনি।
আমার নিজের উপর খুব রাগ হছচ্ছিল।
কেন যে ব্যাপারটা আমি ধরতে পারলাম না।
…………………………।
তার পর থেকে আজ পর্যন্ত কারো মন খারাপ থাকতে দেখলে,
আমি তার সব কিছু বের করার চেস্টা করি, অবহেলা করিনা।
মৃত মানুষকে নাকি মনে রাখতে নেই
তাহলে নাকি তাদের অসম্মান করা হয়।
 বিঃদ্যঃ বরাবর আমার নামে একটা কমপ্লান থাকে তাহলো আমার লেখায় নাকি রিয়েলিটি থাকেনা।
তাই আনার চেষ্টা করলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন