স্কুল, কোচিং,বাসা, টিভি,গান, রেডিও, খেলা আর বন্ধুদের গালগপ্প। কেউ লিখছে সময়, কেউ জীবন্ত দর্শন, কেউবা অভিমানি।
সবারই আলাদা জগত ছিল, প্রেমের জগত, আর বাকি সবতো ছিলই। আমি ছোট বেলা থেকেই আলাদা। কারো সাথে কখনো মিশতে পারতাম না। অচেনা জায়গায় থাকতে পারতামনা। মানে অসামাজিক। তখন আমি কিন্তু বেশ সুখেই ছিলাম......।
বড় হয়েছি, বাগেরহাটে। খুলনা।
কিছু ঝামেলা, রাজনীতি, চলে আসলাম ঢাকা।
আমি তখন নবম শ্রেনি। ঢাকা রেসিডেন্টসিয়াল মডেল কলেজ।
তারপর শুরু ঢাকাইয়া জীবন। বন্ধু, আড্ডা, আনন্দ।
সবার প্রেমিকা ছিল, ডেটিং, কিস আরো কতো কিছু।
আমার এই বিষয়ে খুব অনীহা ছিল। প্রেম করবো কখনো ভাবিনি। অনন্ত এই বয়সে না।
করিনি।
দশম শ্রেনি।
সামনে পরীক্ষা । আর তা নিয়ে কতো টেনশন। এসবের মাঝেও আড্ডা ঠিকই চলতো।
হঠাত একদিন তার সাথে দেখা। আমি ছাদে, আর সে আমার কোচিং এ যাচ্ছে। বাসার পাশে কোচিং। ছাদে বসেই তাকে উপভোগ করতাম। ধীরে ধীরে তার উপর আলাদা একটা মায়া এসে গেলো। না দেখলে ভালো লাগতোনা...।
অপেক্ষার কাছে হার মেনে কোচিং এর একই ব্যাচে পড়া শুরু করলাম।
পরিচয়, আলাপ, বাসায় দিয়ে আসা, দেখা হলে হাসাহাসি আর এভাবেই......
জড়িয়ে যাওয়া।
গেল আরো একটা বছর...।
অনেক চেস্টা করেও বলতে পারিনি।
আমার চেয়ে সে অনেক ছোট ছিল।
সে মাত্র তখন ক্লাস ৮ পড়ে।
এস,এস,সি পড়িক্ষা শেষ। তার একজন বান্ধবি আমায় ফোন দিয়ে একদিন হঠাত দেখা করতে বলল। আমি গেলাম। সে সাথে ছিল।
সে বলল যে সে একটা ছেলেকে পছন্দ করেছে আর তাকে আমাকে বলে দিতে হবে, শুধু বললে হবে রাজি করাতে হবে।
আমি বাসায় চলে আসি, গলা চেপে কাদি, চোখের পানি দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। তাই প্রতিদিন বেশি বেশি কাদতাম।
কিছুদিনপর ওই ছেলেকে বললাম, ছেলে এক কথায় রাজী হয়ে গেলো। তখন আমার আরো খারাপ লাগলো।
ওদের প্রেম চলতে লাগলো। দুবার ঘুরতেও যায় তারা।
আর আমি ...।
আমার দিন কাটে নিঃসঙ্গতায়।
বন্ধুরা জেনে গেলো। একজন আমাকে বেশ করে বকলো। কেন আগে আমি বলিনি, কেন হেল্প করেছি। এসব...।।
খুব রাগ হতো ছেলেটার উপর।
পরে বুঝতে পেরেছিলাম যে এই একটা ছেলে যে আমাকে নিয়ে ভাবে।
একদিন রাত ৩টায় প্রিয় বন্ধুটিকে খবর দিলাম। আবাসিক এলাকার শেওড়া পরা দেওয়ালে বসে কাদলাম। বন্ধু সাক্ষি।
বন্ধু আমাকে বলল যে ওকে যে আমি ভালোবাসি আর আগেও বাসতাম একটা জানাত।
প্রথমে মন সায় দেয়নি। কিন্তু বন্ধুর চাপাচাপিতে বলেদিলাম। তাকে। ামার ভালোবাসা, ও সুদুরেকাকে।
সে কথাটা শুনেই আমাকে জোরে একতা থাপ্পর দিল। তারপর বাসায় চলে গেলো।
তারপর প্রায় ১ মাস কথা হয়নি।
নিজেকে প্রায় গুছিয়ে নিয়েছি, করেছি নতুন শপথ্
কোনো সপ্ন সাজাবোনা
কারো সপ্নে জড়াবোনা’
হঠাত একদিন তার ফোন, সেদিন ছিল পহেলে বিশাখ।
৫ মিণিটের মধ্যে বটগাছের নিচে আসো।
গেলাম, সে আমাকে একটা রিক্সায় উঠালো,
জানতে চাইলাম তার প্রেমিক কোথায়।
বলল’ সে আছে তার মতো।
সারাদিন ঘুরলাম। তাকে বাসায় দিয়ে আসলাম। আমি বাসায় এসে ফোন হাতে নিয়েই দেখি একটা মেসেজ। I love u too
কিছুক্ষন পরেই তার প্রেমিক আমাকে ফোন করে দেখা করতে বলল। আমিতো ভয়ে অস্থির। মেরে কি ফেলে। তারপরো গেলাম। যা হবার তা হবে।
তার কেছে গিয়ে জানতে পারলাম এতোদিন মানে প্রথম থেকেই নাকি ওদের প্রেমটা ভালো যায়নি।সে নাকি সারাদিন আমার কথা বলে। সে নাকি আমাকে ভালবাসে।
কথাগুলো শুনে আমার খুব ভালোলাগছিল, কিন্তু যে বেচারা বলছিল তার কেমন লাগছিল ? ছেলেটা আমাকে রিকোয়েস্ট করলো যে আমি যাতে ওর সাথে যোগাযোগ না রাখি। আমি বাসায় চলে আসলাম, ছেলেটার জন্য খারাপ লাগছিল। কারন আমি জানি প্রম হারানোর বেদনা কি?
তাই আমি তাকে(প্রথম প্রেম) নিষেধ করে দিলাম। নিজের মত থাকতে চাইলাম। কিন্তু সে খুব রিকোয়েস্ট করলো। কান্নাকাটি করলো। শেষে পয়জন খেল।
তারপর ঐ ছেলে এসে আমাকে ওর সাথে প্রেম করতে বলল।
পহেলা বোইশাখে সে আমাকে ভালোবাসি বলেছিলো।
তাই আজ সে কথা খুব শুনতে ইচ্ছে করছে।
কিন্তু সে এখন স্কুলে। বোরিং ক্লাস করছে।
এসেই ফোন করবে আর কথাটা বলবে।
সবারই আলাদা জগত ছিল, প্রেমের জগত, আর বাকি সবতো ছিলই। আমি ছোট বেলা থেকেই আলাদা। কারো সাথে কখনো মিশতে পারতাম না। অচেনা জায়গায় থাকতে পারতামনা। মানে অসামাজিক। তখন আমি কিন্তু বেশ সুখেই ছিলাম......।
বড় হয়েছি, বাগেরহাটে। খুলনা।
কিছু ঝামেলা, রাজনীতি, চলে আসলাম ঢাকা।
আমি তখন নবম শ্রেনি। ঢাকা রেসিডেন্টসিয়াল মডেল কলেজ।
তারপর শুরু ঢাকাইয়া জীবন। বন্ধু, আড্ডা, আনন্দ।
সবার প্রেমিকা ছিল, ডেটিং, কিস আরো কতো কিছু।
আমার এই বিষয়ে খুব অনীহা ছিল। প্রেম করবো কখনো ভাবিনি। অনন্ত এই বয়সে না।
করিনি।
দশম শ্রেনি।
সামনে পরীক্ষা । আর তা নিয়ে কতো টেনশন। এসবের মাঝেও আড্ডা ঠিকই চলতো।
হঠাত একদিন তার সাথে দেখা। আমি ছাদে, আর সে আমার কোচিং এ যাচ্ছে। বাসার পাশে কোচিং। ছাদে বসেই তাকে উপভোগ করতাম। ধীরে ধীরে তার উপর আলাদা একটা মায়া এসে গেলো। না দেখলে ভালো লাগতোনা...।
অপেক্ষার কাছে হার মেনে কোচিং এর একই ব্যাচে পড়া শুরু করলাম।
পরিচয়, আলাপ, বাসায় দিয়ে আসা, দেখা হলে হাসাহাসি আর এভাবেই......
জড়িয়ে যাওয়া।
গেল আরো একটা বছর...।
অনেক চেস্টা করেও বলতে পারিনি।
আমার চেয়ে সে অনেক ছোট ছিল।
সে মাত্র তখন ক্লাস ৮ পড়ে।
এস,এস,সি পড়িক্ষা শেষ। তার একজন বান্ধবি আমায় ফোন দিয়ে একদিন হঠাত দেখা করতে বলল। আমি গেলাম। সে সাথে ছিল।
সে বলল যে সে একটা ছেলেকে পছন্দ করেছে আর তাকে আমাকে বলে দিতে হবে, শুধু বললে হবে রাজি করাতে হবে।
আমি বাসায় চলে আসি, গলা চেপে কাদি, চোখের পানি দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। তাই প্রতিদিন বেশি বেশি কাদতাম।
কিছুদিনপর ওই ছেলেকে বললাম, ছেলে এক কথায় রাজী হয়ে গেলো। তখন আমার আরো খারাপ লাগলো।
ওদের প্রেম চলতে লাগলো। দুবার ঘুরতেও যায় তারা।
আর আমি ...।
আমার দিন কাটে নিঃসঙ্গতায়।
বন্ধুরা জেনে গেলো। একজন আমাকে বেশ করে বকলো। কেন আগে আমি বলিনি, কেন হেল্প করেছি। এসব...।।
খুব রাগ হতো ছেলেটার উপর।
পরে বুঝতে পেরেছিলাম যে এই একটা ছেলে যে আমাকে নিয়ে ভাবে।
একদিন রাত ৩টায় প্রিয় বন্ধুটিকে খবর দিলাম। আবাসিক এলাকার শেওড়া পরা দেওয়ালে বসে কাদলাম। বন্ধু সাক্ষি।
বন্ধু আমাকে বলল যে ওকে যে আমি ভালোবাসি আর আগেও বাসতাম একটা জানাত।
প্রথমে মন সায় দেয়নি। কিন্তু বন্ধুর চাপাচাপিতে বলেদিলাম। তাকে। ামার ভালোবাসা, ও সুদুরেকাকে।
সে কথাটা শুনেই আমাকে জোরে একতা থাপ্পর দিল। তারপর বাসায় চলে গেলো।
তারপর প্রায় ১ মাস কথা হয়নি।
নিজেকে প্রায় গুছিয়ে নিয়েছি, করেছি নতুন শপথ্
কোনো সপ্ন সাজাবোনা
কারো সপ্নে জড়াবোনা’
হঠাত একদিন তার ফোন, সেদিন ছিল পহেলে বিশাখ।
৫ মিণিটের মধ্যে বটগাছের নিচে আসো।
গেলাম, সে আমাকে একটা রিক্সায় উঠালো,
জানতে চাইলাম তার প্রেমিক কোথায়।
বলল’ সে আছে তার মতো।
সারাদিন ঘুরলাম। তাকে বাসায় দিয়ে আসলাম। আমি বাসায় এসে ফোন হাতে নিয়েই দেখি একটা মেসেজ। I love u too
কিছুক্ষন পরেই তার প্রেমিক আমাকে ফোন করে দেখা করতে বলল। আমিতো ভয়ে অস্থির। মেরে কি ফেলে। তারপরো গেলাম। যা হবার তা হবে।
তার কেছে গিয়ে জানতে পারলাম এতোদিন মানে প্রথম থেকেই নাকি ওদের প্রেমটা ভালো যায়নি।সে নাকি সারাদিন আমার কথা বলে। সে নাকি আমাকে ভালবাসে।
কথাগুলো শুনে আমার খুব ভালোলাগছিল, কিন্তু যে বেচারা বলছিল তার কেমন লাগছিল ? ছেলেটা আমাকে রিকোয়েস্ট করলো যে আমি যাতে ওর সাথে যোগাযোগ না রাখি। আমি বাসায় চলে আসলাম, ছেলেটার জন্য খারাপ লাগছিল। কারন আমি জানি প্রম হারানোর বেদনা কি?
তাই আমি তাকে(প্রথম প্রেম) নিষেধ করে দিলাম। নিজের মত থাকতে চাইলাম। কিন্তু সে খুব রিকোয়েস্ট করলো। কান্নাকাটি করলো। শেষে পয়জন খেল।
তারপর ঐ ছেলে এসে আমাকে ওর সাথে প্রেম করতে বলল।
পহেলা বোইশাখে সে আমাকে ভালোবাসি বলেছিলো।
তাই আজ সে কথা খুব শুনতে ইচ্ছে করছে।
কিন্তু সে এখন স্কুলে। বোরিং ক্লাস করছে।
এসেই ফোন করবে আর কথাটা বলবে।
শেষের সেই পয়জন খাওয়ার অংশটুকু না থাকলেও চলত ।
উত্তরমুছুন"তার কেছে গিয়ে জানতে পারলাম এতোদিন মানে প্রথম থেকেই নাকি ওদের প্রেমটা ভালো যায়নি।সে নাকি সারাদিন আমার কথা বলে। সে নাকি আমাকে ভালবাসে। " এখানে শেষ হলে গল্পটা আর সুন্দর হত । শেষের দিকে পয়জন টয়জন খেয়ে বিস্রি অবস্থ্যা হয়ে গিয়েছিল ।
বাস্তব কোনো কিছু বিশুদ্ধ হয়না। কল্পনাতেই সাজানো যায়। জীবন থেকে নেওয়া
উত্তরমুছুনchoo cweet
উত্তরমুছুনcho cweet
উত্তরমুছুনভাল লাগলো.........
উত্তরমুছুন