অসাধারন একটা মুভি গ্রুপ। প্রায় সব ইউজাররা একটিভ। নিয়মিত তারা বিভিন্ন মুভি শেয়ার করে হেল্প করছে পাশাপাশি হেল্প নিচ্ছে। চলছে আলোচনা। চলছে তর্ক। সবাই গ্রুপের নিয়ম মেনে গ্রুপ্টাকে নিজের মতো ভালোবেসেছে। যা আমাদের যারা মুভি দেখি তাদের জন্য কতো প্রয়জনিয় তা বলার বাইরে। আপনি চাইলেই এই গ্রুপের সদস্য হতে পারেন। আপনিও আপনার পছন্দের মুভিটি শেয়ার করতে পারেন। জেনে নিতে পারেন অন্যদের ভালোলাগার মুভি। আলোচনা করতে পারেন।চ শুধু এক্টিভ থাকার চেস্টা করবেন।গ্রুপের নিয়মকানুন মেনে চলুন। মুভি লাভার এখানে কিল্ক করে আমাদের প্রিয় গ্রুপের সদস্য হয়ে যান

ভ্যাম্পায়াররা কখনো মরেনা কেন?



প্রায় ২০০ বছর আগের কথা। ১৮১৬ সালের কাছাকাছি সময়। অদ্ভুত হলেও সত্যি সেবছর গীষ্মকাল আসেনি। আগ্নেয়গিরি থেকে আগুন বের হওয়ার কারনে পৃথিবির তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল।
কয়েকজন বন্ধু একসাথে জড়ো হলো। তারা লেক জেনেভায় ভিলা ডিওডাটিতে থাকতো। তখন তারা ছোট একটা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। কে কতো ভয়ংকর গল্প লেখতে পারে। আর তাদের সেই প্রতিযোগিতা দিয়ে সৃষ্টি হয় আজকের সবথেকে বড়ো দানব।
একটি দানবের সৃষ্টিকর্তা হলো মেরি গডঊইন। যিনি পরর্বতিতে কবি পিবি শেলিকে বিয়ে করে ফলে তার নাম হয় মেরি শেলি। এবং তার তৈরী ডঃ ফ্রাঙ্কেন্সটাইন পরবর্তিতে এক জনপ্রিয় দানবে পরিনত হয়েছিল।
   অন্য দানবটির স্রষ্টা হল জন উইলিয়াম পোলিডোরি। তিনি লেখেন দ্য ভ্যাম্পায়ার গল্পটি।বর্ত্মান সময়ে যেসব মুভি বা বইয়ে শিশু কিশোর বা বড়োদের মাতিয়ে রাখা হয় এই ভুতের কাহিনি দিয়ে আর রুপকার হল জন উইলিয়াম।
  দ্য ভ্যাম্পায়ার দিয়ে মুলত উইলিয়াম ভ্যাম্পায়ারের দুটি দিক তুলে ধরেছেন। এক প্রেমে পড়া বা রোমান্টিক ভ্যাম্পায়ার আর একটা হলো মৃত্যুহীন ভ্যাম্পায়ার। দূটো চরিত্র আসলে তিনি নিজের জীবন থেকে নিয়েছেন । হাল্কা একটু রং মিশিয়ে গল্পটা লিখেছেন।
  কিন্তু ভ্যাম্পায়ারের এই চরিত্রটি ছিল প্রাচীন ধারনার এক নতুন মোড়। ভ্যাম্পায়ার শব্দটি আবিস্কারের বভুদিন আগে থেকেই পার‍্য প্রতিটি সংস্কৃতিতে এই ভ্যাম্পায়ার চারিত্রিক ধারনা চালু ছিল।
 যদি বির্বতনবাদ ধরি তাহলে আমাদের আদি পুরষরা ছিল পশু ও মানুসের মিশ্রন।
শ্রেষ্ঠ স্তনপায়ী প্রানি  আমাদে্র আদি পুরুষরা তৎকালিন সময়ে আন্য প্রানির গরম রক্ত খেয়ে বেচে থাকতো। তখনকার সময়ে পেটের তাগিদে স্বজাতির রক্ত খাওয়াটা খুব বেশী অস্বাভাবিক না। হয়তো যারা এরকম করতো তাদেরকে সমাজ আলাদা চোখে দেখতো । আর এভাবেই হয়তো আমদের স্মৃতিতে  এসেছে ভ্যাম্পায়ার ধারনা। আর ধর্ম বা সংস্কৃতি ধরনা পেলে এভাবেই পেয়েছে।

 ভাম্পায়াররা ডানা মেলেছে। বর্তমান সময়ে সাহিত্য, মুভি , নাটক সবখানেই এদের ছড়াছড়ি। আনন্দ থেকে ব্যানিজ্য।সবখানে আছে তার বিচরন। আর এই ডানা মেলার কাজটা করেছে ব্রাম স্টকার।১৮৯৭ সালে তিনি লেখেন ড্রাকুলা। এটা তখন বেশ প্রভাব ফেলেছিল। সেই থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত চলছে ভ্যাম্পায়ারের দাপট। সকল প্রকার মুভিতে গোয়েন্দা, হরর। রোমান্টিক মুভিতেও তাদের দেখা পাওয়া যায়
 প্রচুর বিজ্ঞান চারপাশে। তবুও ভয় আমাদের কুরে কুরে খায়। বিজ্ঞান হল আধুনি্ক কুসংস্কার। বিজ্ঞান বাদ দিয়ে আগেও মানুষ ভেবেছে এখনো ভাবছে। মানুষ ভাবতে ভালোবাসে। অর্পাথিব ভাবনাই মানুষের নিত্য সঙ্গি। তাই প্রাচীন কাল থেকে আজ  পর্যন্ত মানুষ এদের মনে রেখেছে। তাই ভ্যাম্পায়ার কখনো মরেনি। আর হয়তো কখনো মরবেওনা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন